পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৩৭

কংগ্রেসকে বিপ্লবাত্মক সংগ্রামশীল প্রতিষ্ঠান করিতে চাহিতেন। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশের সমস্ত জনগণকে, সমস্ত দলকে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, হিন্দু, মুসলমানকে যাহাতে এক পতাকাতলে আনিতে পারা যায় এবং যাহাতে অবিলম্বে একটি অহিংস সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়া যায় এইরূপ একটি নির্দ্দিষ্ট নীতি ও কার্যক্রম দেশের সম্মুখে উপস্থাপিত করিতে চাহিয়াছিলেন। এমন নেতার দরকার যিনি তাঁহার ব্যক্তিত্বে দেশের মধ্যে কর্মের প্রবল বন্যা বহিয়ে দিতে পারেন। দেশকে নিষ্ক্রিয়তার পথে টেনে নিতে চাননি। মহাত্মা যতদিন আইন অমান্য আন্দোলন চাইতেছিলেন ততদিন সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে কোন মতভেদ হয় নাই। ১৯৩৩ সালে এই আন্দোলন বন্ধ হইবার পর হইতে নরমপন্থা ও চরমপন্থীদের বিরোধ দিন দিন বাড়িতে থাকে।

 সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের কর্তৃপক্ষের আচরণে ও একনায়কত্বে বিরক্ত হইয়া কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়া চরমপন্থীদের লইয়া Forward Bloc নামক এক দল গঠন করেন। ইহাদের নীতি হইল সংগ্রামাত্মক, কোন আপোষ মুলক নহে। সুভাষচন্দ্রের উদ্দেশ্যে ছিল—ছাত্র, কৃষাণ, শ্রমিক, সমাজতন্ত্রী, সাম্যবাদী সব একত্র করা এবং এক নির্দ্দিষ্ট নীতিতে কাজ করা। স্বাস্থ্য লাভের পর সুভাসচন্দ্র ভারতের সর্বত্র নৃতন দলের নীতি ও কার্যক্রম বিষয়ে বক্ত‌ৃতা দেন এবং ভারতের সর্বত্র Forward Bloc এর শাখা স্থাপিত হয়। কলিকাতা