পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নেতাজীর অমরকীর্ত্তি

আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট ও আজাদ হিন্দ ফোজ।

জাপানীদের তাঁবেদার গভর্ণমেণ্টের চেষ্টা-১৯৪২ সালের ১৬ই ফেব্র‌ুয়ারী সিঙ্গাপুরের পতনের পর ব্রিটিশ বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব্ব এশিয়ায় (সিঙ্গাপুর, মালয়) জাপানের কাছে পরাজিত হইয়া পলাইয়া আসে। প্রায় ৩০ লক্ষ হতভাগ্য সামরিক ও বেসামরিক ভারতবাসিকে তাঁদের ভাগ্যের উপর পশ্চাতে ফেলিয়া আসে। এই সকল ভারতীয়গণকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে কাজে লাগাইবার জন্য জাপানী মেজর ফুজিয়ারা কতকগুলি নেতৃস্থানীয় ভারতবাসীকে আমন্ত্রণ করেন। তাঁর গোপন উদ্দেশ্য ছিল যে ভারতীয়গণ দ্বারা একটি তাঁবেদার স্বাধীনতা সঙ্ঘ গঠন করা ও ভারত আক্রমণ করা। ভারতীয় নেতাগণ জাপানের তাঁবেদার হিসাবে কোন সমিতি গঠন করিতে অস্বীকার করেন। তাঁহারা কোন বৈদেশিক শক্তির ভারত আক্রমণের অধিকার স্বীকার করেন না। নূতন সাম্রাজ্য বাদের এই আবেদনে ভারতীয় নেতাগণ সাড়া দেন নাই। মুক্তিদাতা বাহিনী হিসাবে ভারতে প্রবেশের অধিকার একমাত্র ভারতীয় স্বাধীন বাহিনীরই আছে।

 ভারতীয়ের সভা-রাসবিহারি বসুর নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রীষ্টাব্দে ১০ই মার্চ সিঙ্গাপুরে ও ৩০শে মার্চ টোকিওতে প্রবাসী সমস্ত ভারতীয় প্রতিনিধিদের দুইটি সভা হয়। শেষোক্ত সভায় প্রস্তাব হয় যে:—(১) ভারতের পূর্ণস্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য