পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৫১

থাকেন। ৫ই জুলাই আজাদি বাহিনীর কথা রেডিওতে জগতে ঘোষণা করা হয়। সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে সর্বত্র নবজীবনের সঞ্চার হয়। শ্রীমতী লক্ষ্মীর নেতৃত্বে রাণী অফ ঝান্সি নামক একটি নারী স্বেচ্ছাসেবিকা বাহিনী গঠিত হয়। সুভাষচন্দ্র স্পষ্ট ঘোষণা করেন:—(১) আজাদি বাহিনী ভারতবর্ষের প্রতিনিধি মূলক জাতীয় বাহিনী। (২) জাপানীদের সহিত ইহার কোন সংস্রব নাই। আজাদি বাহিনী বিভিষণ বাহিনী (Quisling) নহে। (২) ভারতভূমিতে কোনরূপ বৈদেশিক কর্তৃত্ব বা আক্রমণ স্বীকার করা হইবে না। (৩) জাপানীরা ভারতভূমিতে পদার্পণ করিলে তাহাদের তাড়াইতে হইবে।

 অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট—পরে সঙ্ঘের সামরিক ও বেসামরিক কার্যকলাপ বাড়িতে লাগিল। সেইজন্য সুভাষচন্দ্র অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট গঠন করেন। তিনিই এই রাষ্ট্রের অধিনায়ক বা নেতাজী নির্ব্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালে ২৩শে অক্টোবর এই গভর্ণমেণ্ট ইংলণ্ড ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। জাপান, জার্মান প্রভৃতি নয়টি রাষ্ট্র ইহাকে স্বীকার করে। সঙ্গের ও গভর্ণমেণ্টের কর্মস্থল রেঙ্গুনে স্থানান্তরিত হয়। আজাদি ফৌজ যে সকল অঞ্চল দখল করিত এই রাষ্ট্র তাহাই শাসন করিত। প্রথমে নেতাজি ভারতের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন। তৎপরে মন্ত্রীগণ নেতাজি ও ভারতের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন। গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে শাসন চলিত। কাহারও