পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

খামখেয়ালি কার্য চলিত না। ভারতীয় ভাষায় অনেক খবরের কাগজ প্রকাশিত হইত। আজাদ সঙ্গের রেডিও স্টেশন ছিল। ফৌজদারি ও দেওয়ানী আদালতে বিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী বিচার হইত। গভর্ণমেণ্টের ১৯টি বিভিন্ন বিভাগ ছিল। প্রত্যেক বিভাগেই মন্ত্রী ছিল। রেকর্ড বুক্স, নথিপত্র রাখা হইত। ভারতীয়গণ এই রাষ্ট্রের নাগরিক ছিল। মালয়ে, যাভায়, ফিলিপাইনে, চীনে, জাপানে, সুমাত্রায় প্রভৃতি সব জায়গায় বহু শাখা ছিল; মালয়ে ৭০টি, বার্মায় ১০০টি, শ্যামে ২৪টি শাখা ছিল। সৈন্য ও বেসামরিক অফিসার সংগ্রহ করা হইত। হিন্দুস্থানীতে সব রাজকার্য্য চলিত। সামরিক শিক্ষাদানের নয়টি কেন্দ্র ছিল। এক মালয়ে ২০ হাজার সৈন্যকে সামরিক শিক্ষা দেওয়া হয়; একই সময়ে ৭০০০ লোককে সামরিক শিক্ষা দেওয়া হইত। নারীদিগকেও সামরিক শিক্ষা দেওয়া হইত। আর ভারতীয়গণই রাষ্ট্রের ও ফৌজের অর্থ যোগাইত। বার্মায় ১৫ কোটি টাকা সংগৃহীত হয়। মালয়ে ১৯৪৪সালের ‘নব বৎসর’ উৎসবে ৪০ লক্ষ টাকা উঠে। মালয়ে মোট ৫কোটি উঠে; সুভাষচন্দ্রের গলার মালা ১লক্ষ হইতে ১২লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রীত হইত। একবার একজন ধনী পাঞ্জাবী তাঁহার সমস্ত সম্পত্তি দিয়া মালা ক্রয় করেন। এই সমস্ত অর্থ National Bank এ জমা হইত। ব্যাঙ্কে ৪০ কোটির উপর টাকা ছিল। রেঙ্গুণে নেতাজী তহবিল নামে একটা তহবিল ছিল। ফৌজ এই সকল টাকা হইতে যুদ্ধের সরঞ্জাম ক্রয় করিত।