পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৫৩

 সমাজ সেবা—গভর্ণমেণ্ট সমাজ সেবায় অর্থব্যয় করিত। যুদ্ধ পীড়িত ও মজুরদিগের সাহায্যার্থে চিকিৎসালয়, ডাক্তার, ঔষধপথ্য প্রভৃতির জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করিত। কুয়ালালামপুরে বৃহৎ সাহায্য কেন্দ্র ছিল। ইহার মাসিক খরচ ৭৫ হাজার টাকা ছিল। বর্মা ও শ্যামেতেও অনেক চিকিৎসালয় ছিল। সঙ্ঘ মালয়ে জঞ্জল পরিষ্কার করিয়া প্রায় ২০০০ একর জমি বাসের উপযুক্ত করিয়াছিল। শিক্ষার জন্য সঙ্ঘ অনেক জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া ছিল; এক বার্মাতেই ৬৫ টি জাতীয় বিদ্যালয় ছিল।

ভারত আক্রমণ ও সেনা সংস্থান

 সুভাষচন্দ্রের দৃঢ় নীতির ফলেই জাপানীরা ভারত আক্রমণের নীতি পরিত্যাগ করে। বিরাট ভারত-অভিযানের মত ক্ষমতাও জাপানীদের ছিল না। অজাদি সৈন্য ভারতে প্রবেশ করিতে মনস্থ করে। ১৯৪৪ সালের ৪ঠা ফেব্র‌ূয়ারী আক্রমণাত্মক কার্য্য সুরু হয়। আজাদি সৈন্য ১০ই মার্চ্চ ভারতভূমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। আজাদি বাহিনীতে ছিল; (১) শানওয়াজের নেতৃত্বে ৩২০০ সৈন্য লইয়া গঠিত সুভাষ ব্রিগেড; (২) কিয়ানির নেতৃত্বে ২৮০০ সৈন্য লইয়া গান্ধী ব্রিগেড; (৩) মোহন সিংহের নেতৃত্বে ২৮০০ সৈন্য লইয়া আজাদ ব্রিগেড; (৪) গুরু বক্স সিংহের নেতৃত্বে ৩০০০ সৈন্য লইয়া নেহরু ব্রিগেড; (৫) রাণী ঝান্সি ব্রিগেড, (৬) বালসেনা (বালক বালিকা বিভাগ)-ইহারা আত্মঘাতী সেনা হিসাবে কাজ