পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী
৫৯

বেদনা, তারা অভয় দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলবে। ওরা সব ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের দল—লক্ষ্মী স্বামীনাথন আর বেলা দত্ত, রেবা সেন আর মিস ভট্টাচার্য। লক্ষ্মী স্বামীনাথন্ ডাক্তার, —তাঁর প্রধান কাজ হল হাঁসপাতালে। কুমারী বেলা দত্তের বয়স যোল। তার উপর দেওয়া হল আর এক হাঁসপাতালের দায়িত্ব। দিনের পর দিন সে চলে শুশ্রুষা করে, ঝাঁকে ঝাঁকে শত্রু বিমান বোমা বর্ষণ করে যায় মাথার উপর দিয়ে। অনেকে সরে গেল নিরাপদ আশ্রয়ে। কিন্তু সে যাবে কেমন করে তার রুগ্ন ভাইদের ফেলে? মৃত্যুর সম্মুখে দাড়িয়ে সে বোমা বর্ষণ উপেক্ষা করে চলল রোগীদের সেবা করে। শেষে একবার তাকে উদ্ধার করা হল এক ধ্বংসস্ত‌ুপের ভিতর থেকে।

 যুদ্ধে নারী—কিন্তু শুধু রুগ্ন আর আহতদের পরিচর্যা করে নারীরা তৃপ্তি পেল না। তারা চায় ভাইদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে—তারা জানে অস্ত্র ধরতে—সে শিক্ষা নেতাজী তাদের দিয়েছেন তাই আঙ্গুল কেটে তারা নেতাজীর কাছে লিখে পাঠান রক্তের লিখন।

 তাদের সে আবেদন মঞ্জুর হল। সিপাহী বিদ্রোহের বীরঙ্গনা রাণী লক্ষ্মীর নামে গড়ে উঠল “ঝাঁসীর রাণী বাহিনী” স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্খায় আজ তারা নববলে বলীয়ান। তার জানে সে পথ বন্ধুর—সে পথে আসবে দুঃখ—আসবে মৃত্যু। কিন্তু তা বলে ত বসে থাকলে চলবে না—সে পথই যে মুক্তির পথ। তারা পায়ে পর‍্ল রবারের বুট, শাড়ীর বদলে গায়ে উঠল