পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

 এই যুদ্ধের পূর্ব্ব হইতে তিনি জাপানে ছিলেন। তিনি আফগানিস্থানের প্রজা বলিয়া নিজেকে বিবেচনা করেন। তিনি পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে লইয়া একটি সমবায় গঠনের পরিকল্পনা করেন। জেনারেল ম্যাকআর্থার আর্য্যবাহিনী নামে পরিচিত ভারতীয়গণের সভাপতিরূপেই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করিবার আদেশ দিয়াছেন। দীর্ঘ এবং শীর্ণকায় রাজা মহেন্দ্র প্রতাপের মুখমণ্ডল গুক্ষ ও শ্মশ্রু মণ্ডিত। তিনি চশমা পরিয়া থাকেন। বর্তমানে তাঁহার বয়স ৬০ বৎসর হইবে।

জগন্নাথ রাও ভোঁসলে

 তিনি মহারাষ্ট্রের তিরোদ গ্রামে ১৯০৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ভারত গৌরব শিবাজীর বংশধর। তিনি দেরাদুনের প্রিন্স অফ ওয়েলস সামরিক বিদ্যালয়ে ও ১৯২৬ সালে ইংলণ্ডের ‘স্যাণ্ডহার্ষ্ট’ সামরিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত হন। ১৯২৮ সালে ভোঁসলেজী কোয়েটাতে ল্যাঙ্কা-শায়ার রেজিমেণ্টে পরে মারহাট্টা পদাতিক দলে কাজ করেন।

 ১৯৩৭ সালে ভোঁসলে ক্যাপ্টেন হন এবং সম্রাটের মুকুটোৎসবে যোগ দেন। তিনি বীরত্বের জন্য একটি পদক পান। ভারতবাসীদের মধ্যে তিনিই সর্ব্বপ্রথম সেনাপতির কাজ শিক্ষা করিবার জন্য মনোনীত হন। পরে তাঁহাকে লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেলরূপে সিঙ্গাপুরে পাঠান হয়।

 সিঙ্গাপুরের দূরবস্থার পর ভোঁস‍্লে আজাদ হিন্দ ফৌজে