পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সর্ব ধর্মের—এসে যোগ দিতে লাগল এই সব শিক্ষা কেন্দ্রে। শুধু যে যুবকরাই এসে যোগ দিলে তা নয় সিঙ্গাপুরে নারী বাহিনীর শিক্ষা কেন্দ্রে নারীরাও এসে যোগ দিতে লাগল দলে দলে। এদের নিয়েই ঝাঁসীব রাণীর পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে ঝাঁসী রাণী বাহিনী সংগঠিত হল। সোভিয়েট রাশিয়ায় দেশের স্বাধীনতার জন্য নারীরাও সম্মুখ সমরে নেমে এসে অস্ত্র চালনা করেছিল— তার জন্য বৃটিশ আর আমেরিকানরা তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিল, বার বার ভারতবর্ষের সামনে তুলে ধরেছিল সেই ছবি ভারতের কমিউনিষ্ট ‘বন্ধুরা’—তাদেরই চোখের সামনে বিস্ময় ও আনন্দের কোলাহলের মধ্যে ঘোষিত হল যে ভারতের নারী যাদের অসহায় দুর্বল বলে বদনাম আছে তারা দলে দলে আজ তৈরী হচ্ছে তাদের এই মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে—মুখের ভাষায় নয় কামানের গর্জন দিয়ে। এই নারী বাহিনী মালয়ের মহিলা চিকিৎসক কুমারী লক্ষ্মী স্বামীনাথনের অধীনে শিক্ষিত হতে থাকলো। আর যুবকদের বাহিনী মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত নেহরু, মৌলানা আজাদ ও সুভাষবাবুর নামে বিভক্ত করা হল। সুভাষবাবুর ব্যক্তিগত তত্বাবধানে আজাদ হিন্দ দল গড়ে উঠলে। তাদের সামরিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে দখলের পর স্বাধীন ভারত ভূমিতে শাসন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবার জন্য শাসনব্যবস্থা শিক্ষা দেওয়া হতে লাগলো। তাছাড়া সামরিক অধিনায়কদেরও একটা শিক্ষা কেন্দ্র খোলা হল।

 এইবার এই সেনাবাহিনীতে যোগ দেবাব আবেদন পত্রের একটা প্রতিলিপি দেওয়া হচ্ছে। এই সব প্রতিলিপি আজাদ-হিন্দ ফৌজের বিচারের সময় প্রদর্শিত হয়েছিল।

আজাদ হিন্দ ফৌজের বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবকের

অন্তর্ভুক্ত হবার অবেদন পত্র।

 প্রথমেই সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে যে অন্তর্ভুক্ত হবার পর যদি জানা যায় যে আপনি এ সমস্ত প্রশ্নের ভুল উত্তর দিয়েছেন তাহলে আপনাকে ভারতীয়

৯৫