পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যথাসাধ্য কাজ করছি। শীঘ্রই আমরা ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করবো এবং ভারতভূমিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করবো। তারপর দিল্লী অভিমুখে আমাদের ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করবো। সর্ব্বশেষে ইংরাজরা ভারতবর্ষ ত্যাগ করলেই এ যাত্রা শেষ হতে পারে কিন্তু তার পূর্ব্বে নয়। দিল্লীর বড়লাট ভবনে যেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা সগৌরবে উড়তে থাকবে এবং যেদিন ভারতের মুক্তি সেনা প্রাচীন লালকেল্লার অভ্যন্তরে বিজয় উৎসবে মেতে উঠতে পারবে—কেবলমাত্র সেই দিনই এ অভিযানের শেষ হবে।

 আর একটি অনুরূপ নির্দেশনামা:

 আজাদ হিন্দ ফৌজের কমরেডগণ!

 এই বছরের (১৯৪৪) মার্চ্চ মাসের মাঝামাঝি আজাদ হিন্দ ফৌজের অগ্রগামী বাহিনী তাদের শক্তিশালী মিত্র রাজকীয় নিপ্পন বাহিনীর সেনাদের সঙ্গে পাশাপাশি যুদ্ধ করতে করতে ভারত-ব্রহ্ম সীমা অতিক্রম করেছে এবং সেই সঙ্গে ভারতের মুক্তি যুদ্ধ ভারতের মাটিতেই সুরু হয়ে গেছে।

 বৃটিশ কর্ত্তৃপক্ষ শতাধিক বৎসর ধরে আমাদের নির্মমভাবে লুণ্ঠন করে এবং বিদেশ থেকে ভাড়াটে সৈন্য জোগাড় করে আমাদের বিরুদ্ধে বিরাট এক শক্তি নিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে। ভারত-ব্রহ্ম সীমান্ত অতিক্রম করার পর আমাদের ন্যায্য দাবীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের সেনা বাহিনী অধিকসংখ্যক এবং উন্নত সাজসজ্জা সম্বলিত কিন্তু মিশ্র ও অসংবদ্ধ শত্রু সৈন্যদের প্রত্যেক যুদ্ধে পরাস্ত করে দিয়েছে।

 আমাদের বাহিনী তাদের উন্নততর শিক্ষা ও শৃঙ্খলা এবং করিব কিংবা স্বাধীনতার পথে মরিব এই অমননীয় দৃঢ়তার বলে শীঘ্রই শত্রুর উপর তাদের শ্রেষ্ঠতা প্রতিপন্ন করতে সক্ষম হয়েছে এবং ওদের নৈতিক বল ক্রমশঃই প্রত্যেক পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে।

 চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মধ্যে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমাদের সমর নায়ক ও সেনারা

১১০