মন প্রাণ ঢেলে—বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামের শক্তি নয়—সমস্ত আত্মার শক্তি দিয়ে দেড়শ’ বছরের অত্যাচারের পুঞ্জীভূত বেদনার অগ্নিময় প্রতিধ্বনি তুলে যে জাগিয়ে দিয়ে গেল ভারতের নিদ্রিত শক্তির প্রচণ্ডতাকে তার তুলনা ইতিহাসে মিলবে না। তাই বলি জয় পরাজয়ের প্রশ্ন এখানে ওঠে না—এরা চিরজয়ী অমর যোদ্ধার দল!
দৈনন্দিন যুদ্ধের ইতিহাস জানার কোন প্রয়োজন নেই। কেন ন। একমাত্র যুদ্ধের সময়ই তাঁর একটা বিশেষ মর্যাদা আছে, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে উত্তেজনা আর তার মধ্য থেকে পাওয়া যাবে না। তবে দুই এক দিনের যুদ্ধের হুকুম নামার সঙ্গে আমাদের পরিচয় থাকা দরকার। যথা:
কপি নং ১
মানচিত্র নং ৮৪০।৮ ও ৮৪০।৪
খোঁজ খবর,
(ক) শত্রু: এক ব্রিগেডের মত এক দল যন্ত্র সজ্জিত শত্রু বাহিনী যারা গত মাসের শেষদিকে মিকটিলায় প্রবেশ করেছিল তারা এখনও সেখানে আছে। শত্রু নিয়ানগু ও পাকোকুতে খুব শক্তিশালী সেতুমুখ তৈরী করেছে এবং তাদের আরও মজুত পাঠিয়ে প্রবল করে তুলছে। এই সেতুমুখদ্বয়ে শত্রু সংখ্যা আন্দাজ দুই ব্রিগেডের মত।
আরও জানা গেছে যে শত্রু এক ব্যাটালিয়ন পদাতিক, ১০ খানা ট্যাঙ্ক ও ১০ খানা সাঁজোয়া গাড়ীর সাহায্যে পিনবিন দখল করেছে।
পিনবিনের ১২ মাইল উত্তর-পূর্বে থেডতে টঙ্গথার যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য শত্রুর
১১৩