এ ত গেল সাধারণ যুদ্ধরত সৈন্যদের কথা। যারা বিশ্বাসঘাতকতা করতো তাদের শাস্তি ছিল প্রাণদণ্ড। অবশ্য সব সময়েই যে প্রাণদণ্ড হত তা নয়, অন্যান্য শাস্তিরও ব্যবস্থা ছিল।
একদিকে যেমন ভীরুতা ও অবাধ্যতার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা ছিল অন্যদিকে তেমনি শৌর্যবীর্য প্রদর্শনের জন্যে পুরস্কার ও বিশেষ উপাধিরও ব্যবস্থা ছিল। কয়েকটি বিশিষ্ট সম্মান ও ভূষণের নাম—(১) শহীদ-ই-ভারত (২) শের-ই-হিন্দ (৩) সর্দার-ই-জঙ্গ (4) ভাই-ও-হিন্দ (৫) তঙ্ঘ-ই-বাহাদুরী (৬) তঙ্ঘ-ই-শত্রুনাশ (৭) সনদ্-ই-বাহাদুরী।
তবে, তঙ্খ-ই-শত্রুনাশ আজাদ-হিন্দ ফৌজের বাইরেও যে কোন ব্যক্তি যে ভারতের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করবে তাকেও দেওয়া যেতে পারে বলে স্থির হয়।
এইবার আমাদের আজাদ-হিন্দ ফৌজের বিশেষ করে নতুন আগন্তুকদের আভ্যন্তরিক গঠন-প্রণালী সম্বন্ধে কিছু জানা দরকার। এই বিষয় জানতে গেলে বিচারালয়ে প্রদর্শিত শাহ্ নওয়াজ খানের একটি নির্দেশনামাই যথেষ্ট বলে মনে হয়। নির্দেশনামাটি এইরূপ:
একান্ত গোপনীয়।
টু
নং এম ১০।১ জি
হেড কোয়ার্টার্স, সুপ্রীম কম্যাণ্ড
আই, এন, এ
শোনান-টো ৮ই আগষ্ট ১৯৪৩,
হেড কোয়ার্টার্স নং ১ ডিভি, আই, এন, এ,
কমড, রি-ইন ফোর্সমেণ্ট গ্রুপ,
হেড কোয়ার্টার্স, হিকারি কিকান।
ব্রহ্মদেশস্থিত ভারতীয় সৈন্যদের অভ্যর্থনা ও তত্ত্বাবধানের পরিকল্পনার এক কপি এই সঙ্গে পাঠানো হল।
<div style="text-align:right; padding-top: 0em; margin-right:(স্বাঃ) শাহ নওয়াজ খান, লেফ্ট্ঃ কর্ণেল
সি, জি, এস, হেড কোয়ার্টার্স সুপ্রীম কম্যাণ্ড, আই, এন, এ,; ">{c
১১৯