পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এই পরিকল্পনা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হবার জন্য সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করবেন।

 যাতায়াত ব্যবস্থা:—

 সাধারণতঃ জাপানী চালানের যোগাযোগ ব্যবস্থাই ব্যবহার করা হবে। যেখানে সম্ভব এই সব লোকদের এ্যাডভান্স বা মেইন কালেকটিং পোষ্টে পাঠাবার জন্য রেলগাড়ী ব্যবহৃত হবে।


 এই পরিকল্পনার খসড়ার সঙ্গে যে নক্সা সংযুক্ত ছিল সেটা এর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হল না, অপ্রয়োজন বোধে!

 উক্ত নির্দেশনামা থেকে আমরা দুটো প্রয়োজনীর বিষয় জানতে পারি। প্রথমতঃ নবাগত সৈনিকদের প্রতি আজাদ হিন্দ সরকারের ব্যবহার এবং দ্বিতীয়তঃ এই সেনা বাহিনী গঠনে জাপানীদের সঙ্গে প্রকৃত সম্বন্ধ। পদমর্যাদা ও পদবিভাগে আজাদ-হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে বৃটিশ বাহিনীর বিশেষ কোন তফাৎ নেই, বাহিনী গঠনের পূর্বের অবস্থাটাই প্রকৃত আলোচনার বিষয়। তবে আর একটি বিষয়ের উল্লেখ না করলে আমাদের এ কাহিনী অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, সেটি হল বালক সেনা বাহিনীর কথা। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছেলে মেয়েদের নিয়ে এই বালক সেনা বাহিনী গঠিত হয়। শোনা যায় এই সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেবার জন্যে দলে দলে ছেলে মেয়ে এসে নেতাজীর কাছে অনুনয় বিনয় করতো। এরা বীর যোদ্ধার মত বন-জঙ্গল পাহাড় পর্বত পার হয়ে বহুক্ষেত্রে যুদ্ধতে নানারকম সাহায্য করতো। শুধু অর্থকরী বিদ্যা না শিখিয়ে এদের জাতীয় ভাবাপন্ন হয়ে দেশের শিল্প প্রসারের দিকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষিত করে তোলা হত। ভবিষ্যতের স্বাধীন ভারতে এদের একটা বড় স্থান থাকবে —মস্তবড় এক উঁচু আদর্শ এরা তুলে ধরবে দেশের সামনে।

 এ সমস্ত গেল আভ্যন্তরিক বিধিব্যবস্থার কথা কিন্তু বহির্জগতের সঙ্গে এই

১২৪