পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দিল্লী আর কত দূর?

 আমরা আগেই দেখেছি ১৯৪৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী আজাদী-ফৌজের সঙ্গে বৃটিশ বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর ক্রমান্বয়ে এক বছর ধরে ভীষণ সংগ্রাম চলে এবং আজাদী ফৌজ শাহ নওয়াজের অধিনায়কত্বে মণিপুরের কিয়দংশ দখল করে সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে সমর্থ হয়। তারপর ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হয় এবং কিছু দিন পর এ্যাটম বোমার বা আনবিক বোমার অমানুষিক ধ্বংস লীলায় বিধ্বস্ত হয়ে জাপানীরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু জাপানীরা আত্মসমর্পণ করলেও আজাদী ফৌজ বীব বিক্রমে কিছুদিন পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এর পর ২৩শে আগষ্ট ১৯৪৫ সালে হঠাৎ জাপান থেকে ঘোষণা করা হয় যে আজাদ-হিন্দ-সবকারের সর্বাধিনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এক বিমান দুর্ঘটনায় আহত হযে জাপানী হাসপাতালে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। শ্রীযুক্ত বসু জাপানী সবকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবাব জন্যে ১৮ই আগষ্ট সিঙ্গাপুর থেকে টেকিওয় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাইহকু বিমান ক্ষেত্রে বেলা ২টার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে এবং তিনি সাঙ্ঘাতিকভাবে আহত হন। জাপানের এক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় এবং সেখানেই মধ্যরাত্রে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 এই সংবাদে জগতব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ইতিপূর্বে কয়েকবার সুভাষবাবুর মৃত্যু সম্পর্কে মিথ্যা খবর রটনার ফলে এবারও লোকে, বিশেষ করে ভারতের জনসাধারণ সংবাদটি সম্পূর্ণ অবিশ্বাস করে। যদিও বৃটিশ সরকার ও জাপানী সরকার নানাভাবে প্রমাণ পত্র দাখিল করে এবং নানাবিধ প্রচার কার্যের সাহায্যে সংবাদটি সমর্থন করবার চেষ্টা করছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশবাসীর এবং

১৩৭