পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জুলাই ২৫, ১৯৪৩

 আজ শ্রীমতী ট—ও কুমরী স-কে চায়ের নেমন্তন্ন করেছি। কুমারী স পেনাং থেকে আসছেন—এবং সমস্ত এশিয়াবাসিদের আক্রমণকারী জাপানীদের হাতে ফেলে রেখে বৃটিশেরা কেমনভাবে পেনাং ছেড়ে পালিয়ে গেছে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।

 তিনি বললেন:

 বোমাবর্ষণের ফলে কি বিরাট গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল তার বর্ণনা আমি দিতে পারবো না।

 তবে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার এই যে এই জনসাধারণকে কোনও রকম সাহায্য করবার জন্য কোনও সরকারী কর্মচারী ছিল না। বৃটিশেরা সমস্ত খাদ্যদ্রব্য নিয়ে বন্দুকের পাহারায় এক কোনে সরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাস করছিল। তৃতীয় দিনে ইভাকুয়েশন করা স্থির হল। কিন্তু কোন এশিয়াবাসীকে পালানোর ক্ষমতা দেওয়া হল না। স্থানীয় সামরিক ও অসামরিক কর্মচারীরা বল্লেন কেবলমাত্র খাঁটি বৃটিশ রক্তের লোকেরাই পালাতে পারবে। এমন কি ইউরেশিয়ানরাও নয়। আমি কয়েকজন ইউরেশিয়ান মহিলাকে জানি তাঁরা বৃটিশ ব্যবসায়ীদের বিবাহ করেছিলেন। শ্রীমতী ‘ব’ আমার বন্ধু। তাঁর স্বামী তাঁকে ফেলেই পালালেন। তিনি ইউরেশিয়ান—তাঁর যাবার অধিকার নাই।

জানুয়ারী ২৬, ১৯৪৪

 আজ আমরা স্বাধীনতাদিবস পালন করলাম।

 বক্তৃতার আগে নেতাজীকে মাল্যভুষিত করা হল। বক্তৃতার সময় তিনি মালাটি হাতে জড়িয়ে রেখে ছিলেন। বক্তৃতা শেষে জিজ্ঞাসা করলেন— এই মালাটি কেহ কিনতে চায় কি না। বিক্রয় লব্ধ টাকা ফৌজের তহবিলে যাবে।

১৫৩