পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এর মধ্যে কারোনি আবার এসে জানালেন যে ফোটো খুব সুন্দর হয়েছে এবং অন্যান্য ব্যবস্থাও সব প্রস্তুত।

 যাবার আগে দরকারী জিনিষপত্র সব কেনাকাটা করা হতে লাগলো। হাজি সাহেবের দর্জিকে দিয়ে সুভাষবাবুর দুটো পোষাক তৈরী করা হল। এর মধ্যে সুভাষবাবু একদিন জীবনলালকে দেখা দিয়েছিলেন, অবশ্য সেটা জীবনলালকে বহু অনুনয় বিনয়ের ফলে। সেইজন্য পরবর্তীকালে জীবনলাল গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

 এর পর ইটালীয় দূত জানিয়ে গেলেন যে ১৮ই মার্চ তাঁর যাওয়ার দিন ঠিক হয়েছে। ১৬ই মার্চ সিনরা কারোনি এসে তাঁর স্যুটকেশ নিয়ে গেলেন। ১৪ই মার্চ হাজি সাহেব সুভাষবাবুকে মধ্যাহ্ন ভোজনে সম্বর্দ্ধিত করলেন।

 নির্ধারিত দিনে বেলা ১টার সময় সুভাষচন্দ্র দুজন জার্মান ও একজন ইটালীয়ানের সঙ্গে যাত্রা করলেন। ছাড়পত্রে তাঁর নাম লেখা ছিল তারাতাইন। পরে খবর আসে মস্কো হয়ে ২৮শে মার্চ তিনি বার্লিনে গিয়ে পৌঁছান।


তারপর আর ঘটনা নয়—ইতিহাস।

১৬৫