পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কথা! Suffering-এর মধ্যে আনন্দ আছে, একথা বিশ্বাস করুন। তা না হলে লোক পাগল হয়ে যেত, তা না হলে কষ্টের মধ্যে লোক হৃদয়ের আনন্দে ভরপুর হয়ে হাসে কি করে? যে বস্তুটা বাহির থেকে Suffering বলে বোধ হয়—তার ভিতর থেকে দেখলে আনন্দ বলেই বোপ হয়।

 ‘আমার শুধু দুঃখ এই যে, চৌদ্দমাস কাল অনেকটা হেলায় কাটিয়েছি। হয়ত বাঙ্গলার জেলে থাকলে এই সময়ের মধ্যে সাধনার পথে অনেকটা এগুতে পারতুম। কিন্তু তা হবার নয়! এখন আমার প্রার্থন। শুধু এই, তোমার পতাকা যারে দাও তরে বহিবারে দাও শকতি। যখনই খালাসের কল্পনা করি তখন আনন্দ যত হয়, তাব চেবে বেশী ভয় হয়। ভয় হয পাছে প্রস্তুত হতে না হতেই কর্তব্যের অন এসে পৌছায়। তখন মনে হয়, প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত যেন খালাসের কথা না উঠে। আজ আমি অন্তরে বাহিরে প্রস্তুত নই, তাই কর্তব্যের আহ্বান এসে পৌছায় নাই। যেদিন প্রস্তুত হব সেদিন এক মূহুর্তের জন্যও আমাকে কেহ আটকে রাখতে পারবে না।

 ‘আমি যখন ধীরভাবে চিন্তা করি, তখন আমার নিঃসংশয় ধারণা জন্মে যে, আমাদের সমস্ত দুঃখ কষ্টের অন্তরে একটা মহত্তর উদ্দেশ্য কাজ করছে। যদি আমাদের জীবনের সকল মূহুর্ত ব্যাপে এই ধারণাটা প্রসারিত হয়ে থাকতে তাহলে দুঃখে কষ্টে আর কোন যন্ত্রণা থাকতো না এবং তাইতেই ত’ আত্মা ও দেহের মধ্যে অবিরাম দ্বন্দ্ব যুদ্ধ চলেছে।

 ‘সাধারণতঃ একটা দার্শনিক ভাব বন্দীদশায় মানুষের অন্তরে শক্তির সঞ্চার করে। আমিও সেইখানেই আমার পাঁড়াবার ঠাই করে নিয়েছি এবং দর্শন-বিষযে যতটুকু পড়া শশানা করা গেছে সেটুকু এবং জীবন সম্বন্ধে আমার যে ধারণা আছে তাও আমার বেশ কাজে লেগেছে। মানুষ যদি তার নিজের অন্তরে ভেবে দেখবার মত যথেষ্ট বিষয় খুজে পায়, বন্দী হলেও তার কষ্ট নেই, যদি তার স্বাস্থ্য অটুট থাকে; কিন্তু আমাদের কর্ম ত’ শুধু আধ্যাত্মিক

২০