পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ব্যক্তিগত প্রভাবে জনসাধারণের মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলবার চেষ্টা করলেন। তাঁদের বিবৃতি:—আমরা বিশ্বাস করি ডাঃ পট্টভী কংগ্রেসের সভাপতির পদের জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত। তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রাচীনতম সদস্যদের অন্যতম এবং তাঁর জীবন বহুদিনের নিরবচ্ছিন্ন জনসেবায় সম্বৃদ্ধ। আমরা তাই আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস প্রতিনিধিদের সম্মুখে তাঁর নাম অনুমোদন করছি।

 এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করলেন, বল্লভভাই প্যাটেল, আচার্য কৃপালনী, শঙ্কররাও দেও, রাজেন্দ্র প্রসাদ, ভুলাভাই দেশাই ও দৌলতরাম।

 এমনকি ডাঃ সীতারামীয়া নিজে এক বিরাট বিবৃতি বের করে নিজেকেই নিজে সমর্থন করলেন। তাঁর বক্তব্য এই যে, আমি বহুদিন কংগ্রেসের সেবা কবে আসছি আমার নাম প্রস্তাব তারই স্বীকারোক্তি··· ইত্যাদি।

 এই দুটি বিবৃতি ছাড়া আরও বহু বিবৃতিতে ও রচনায় সংবাদ পত্রের পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে উঠতে লাগলো। দেশময় দারুণ উৎকণ্ঠার তরঙ্গ! সুভাষবাবু দেখলেন তাঁর পক্ষেও এইবার কিছু প্রচার কার্য চালানো দরকার আর না হয়ত নাম প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু নাম প্রত্যাহার করা তাঁর স্বভাব নয় তাই তিনিও বীরের মত তাঁদের সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে দিলেন। তাঁর বিবৃতি যা বেরুলো তাকে প্রচার বলা যেতে পারে না। সেটা সত্য ঘটনার সহজ প্রকাশ মাত্র। তিনি জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিলেন দক্ষিণপন্থী দলের আসল উদ্দেশ্য কি? তিনি বললেন, এটা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আগামী বছরে কংগ্রেস দক্ষিণপন্থী দলের সহিত বৃটিশের ফেডারাল স্কিম নিয়ে একটা আপোষ মীমাংসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দক্ষিণপন্থী দল চাননা একজন বামপন্থী নেতা সভাপতি হয়ে, এই বোঝাপড়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করেন।

 এর প্রত্যুত্তরে সর্দার প্যাটেল এক বিবৃতি বের করে সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করলেন বটে, কিন্তু সফল হলেন না। অনেকটা সেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকবার ব্যাপার।

৫৫