পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এভেনিউতে রবীন্দ্রনাথ এই সৌধের ভিত্তিস্থাপনা করেন এবং নাম দেন মহাজাতি সদন। পরে অবশ্য পুলিশ এই বাড়ীর যাবতীয় অর্থভাণ্ডার এবং দলিল পত্র বাজেয়াপ্ত করে নেয়। তারপর শরৎ চন্দ্র বসু এই নিয়ে মামলা সুরু করেন সরকারের বিরুদ্ধে। যাই হোক এই মহাজাতি সদন এখনও অসম্পূর্ণ অবস্থায় বাঙ্গালীর আগামী দিনের সমস্ত আশা ভরসার প্রতীক স্বরূপ দাঁড়িয়ে আছে।

 এই সময় তিনি কিছুদিনের জন্য যুক্তপ্রদেশ শফর করে বেড়ান। এবং মার্চ মাসে কংগ্রেস অধিবেশনের পাশাপাশি রামগড়ে আপোষ বিরোধী মহাসম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এপ্রিল মাসে তিনি কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান নির্বাচিত হন এবং কর্পোরেশনের মধ্যে মুশ্লিম লীগের সঙ্গে একটা মীমাংসায় এসে পৌঁছান। মাসে পর পর ২৪ পরগণা জেলা যুব সম্মেলনে এবং ঢাকায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগদান করেন। জুন মাসে নাগপুরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড্ ব্লক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। এবং ঐ মাসে ২০ তারিখে ওয়ার্ধায় মহাত্মাজীর সঙ্গে এবং ২২ তাবিথে জিন্না ও সাভারকারের সঙ্গে দেখা করেন। ২৯শে জুন থেকে তিনি কোলকাতাস্থিত হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণ নিয়ে তুমুল আন্দোলন শুরু করেন। দলে দলে ছাত্র হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই আন্দোলনে যোগ দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সমগ্র বাঙ্গালী জাতিব মিথ্যা অপবাদের স্তম্ভ স্বরূপ হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারিত হয়। জুলাই মাসের ২ তারিখে এপ্রিল মাসে মহম্মদ আলি পার্কে প্রদত্ত এক বক্তৃতা ও ফরওয়ার্ড ব্লক পত্রিকায় (ফরওয়ার্ড ব্লক দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গে এই পত্রিকার তিনি সম্পাদনা শুরু করেন) প্রকাশিত ‘The Day of Reckoning’ নামক এক প্রবন্ধের অজুহাতে ভারতরক্ষা বিধানে তিনি গ্রেপ্তার হন। কারাবাসের মধ্যেই অক্টোবর মাসে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তারপর নভেম্বর ২৯ তারিখ থেকে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন, যার ফলে কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বর ৫ তারিখে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। অনশন-ধর্মঘট শুরু করবার আগে বাংলার লাট

৭৬