পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করেন নি। আমি আশা করি এবারেও তাঁরা তাই করবেন। যদি না করেন তাহলে আমাকে জোর করে খাওয়াবার সামান্যতম চেষ্টাও আমার পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিহত হবে— যদিও তার ফলাফল আরও বিষময় এবং আরও ভয়ানক হতে পারে—যা হোত না। ২০শে নভেম্বর ১৯৪০ থেকে আমি অনশন আরম্ভ করবো।

* * * * *

 এর পর জীবন নয়, শুধু স্বপ্ন


দিল্লী চলো

ঝড়ের আগে

 বাঙ্গালীর মনে আছে ২৬শে জানুয়ারী ১৯৪১, কত বড় এক শুভদিন। সেদিন প্রথম ঘোষণা করা হল সুভাষবাবু তাঁর শয্যাগৃহ থেকে রহস্যজনক ভাবে অন্তর্ধান করেছেন। কিছুদিন ধরেই তিনি তৈরী হচ্ছিলেন এই বিরাট এক আদর্শের সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়বার জন্যে। কিন্তু সে খবর কেউ জানতো না। তাই তাঁর এই রহস্যজনক অন্তর্ধানে সকলেই স্তম্ভিত হয়ে গেল। সকলের মুখে এক কথা প্রহরী বেষ্টিত গৃহ থেকে কি করে তিনি উধাও হয়ে গেলেন? শুধু তাঁর নিজের বাড়ী নয় যখন জানা গেল যে সমগ্র ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে জার্মান বা জাপানে তিনি গিয়ে হাজির হয়েছেন তখন শুধু ভারতবাসী নয় সমগ্র বিশ্বে একটা চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল; ব্যাপারখানা কি? ২৫০ বছরের দাসত্ব করার পর এরকম বিপ্লবী বীরের জন্ম হয় কোন শক্তির বলে? কেন হয়? আধুনিক

৭৯