পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৮৭

ব্যবসায়ী আছেন। তিনি এক সময় নওজোয়ান ভারত-সভার জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন এবং সেই সংশ্রবে ১৯৩০ সালে পুলিশ তাঁহাকে গ্রেপ্তারও করিয়াছিল।

 সুভাষচন্দ্র ইহা শুনিয়া ভাবিলেন, দেশের কাজে যাঁহারা একবার পুলিশের কোপদৃষ্টিতে পড়িয়া লাঞ্ছিত হইয়াছেন, তাঁহাদের পক্ষে সুভাষচন্দ্রকে আশ্রয় দান করা অসম্ভব না হইতেও পারে। সুতরাং তিনি রহমৎ খাঁ অর্থাৎ ভগৎরামকে কহিলেন, “আপনি একবার সেইখানে যান, দেখুন তিনি আশ্রয় দিতে রাজী হন কি না!”

 সুভাষচন্দ্র বলিলেন বটে, কিন্তু রহমৎ খাঁ তখনও ইতস্ততঃ করিতেছিলেন। তিনি ভাবিতেছিলেন, “কি জানি, উত্তমচাঁদ যদিই বা কোন সাহায্য না করেন।”

 এই ভাবে হয়তো আরও কিছুকাল কাটিয়া যাইত, কিন্তু পরদিন যখন সেই সি. আই. ডি. কর্ম্মচারীটি আবার দেখা দিল, তখনই ব্যাপারটা খুব জরুরী হইয়া উঠিল।

 পুলিশ-কর্ম্মচারীটি কহিল, “খাঁ সাহেব, আপনারা এখনো এখানে আছেন? দেখুন আপনাদের সম্পর্কে আমার এখন নানা রকম সন্দেহ হইতেছে। আমি আজ আমার দারোগাসাহেবের সঙ্গে এ-বিষয়ে কথা বলিয়াছিলাম; তিনি আপনাদিগকে থানায় লইয়া যাইতে বলিয়াছেন। কাজেই চলুন, এখনই একবার থানায় যাইতে হইবে। আপনার দাদাটি বোবা-কালা হইলেও একটুখানি হাঁটিতে না পারিবার কোন কারণ নাই।”