পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 সে লোকটি বলিল যে, পাসপোর্ট ছাড়াও রাশিয়ায় প্রবেশ করা যায়, তাহা একেবারেই কষ্টকর নহে। যাহারা সেই ভাবে প্রবেশ করে, তাহারা নৌকায় বা সেতু পার হইয়া যাইবার চেষ্টা করে না। তাহারা নদী পার হইবার জন্য ভিস্তিওয়ালার মশক ব্যবহার করিয়া থাকে।

 মশকগুলি বায়ুপূর্ণ করিয়া ফুলাইয়া, তাহার উপর জেলেদের একখানি জাল বিছাইয়া দেওয়া হয়। যাত্রীরা তখন তাহাতে বসিয়া স্বচ্ছন্দে নদী পার হইতে পারে। সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁ কাবুল-নদীও এইভাবে পার হইয়াছিলেন।

 আর কোন উপায় না দেখিয়া উত্তমচাঁদ অগত্যা এই পন্থাই স্থির করিয়া রাখিলেন। সুভাষচন্দ্রও তখন রাশিয়ায় যাইবার জন্য এত বেশী আগ্রহান্বিত যে, আইনের পন্থায় কি বে-আইনী পন্থায়, তাহা তিনি বিচার করিতে চাহিলেন না। রাশিয়ায় পৌঁছিয়া যদি রাশিয়ার কারাগারেও তাঁহাকে অতিবাহিত করিতে হয়, তিনি তখন তাহাতেও সম্মত। তথাপি আফগানিস্থান পরিত্যাগ করিয়া, রাশিয়ায় যাওয়াই তাঁহার একমাত্র কাম্য হইল। সুতরাং ঐভাবে নদীপার হইয়া, বিপজ্জনক পন্থায় যাইতেও তাঁহার আপত্তি হইল না। কেবল ভাবিলেন, তাঁহার সেই ‘চালক’ লোকটি নির্ভরযোগ্য হইবে কি না!

 সেই লোকটির সঙ্গে উত্তমচাঁদ দর-কষাকষি করিলেন, তাহার পারিশ্রমিক নির্দ্ধারণ করিলেন, কিছু অগ্রিমও প্রদান করিলেন; কিন্তু তথাপি আরও নানাভাবে