পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সাত

আজাদ-হিন্দ ফৌজ ও আজাদ্-হিন্দ্

গভর্ণমেণ্ট

১৯৪২ সালে প্রাচের পরিস্থিতি—সিঙ্গাপুরের পতন—ভারতীয় সৈন্যগণকে জাপ-হস্তে সমর্পণ—জাপানের উদ্দেশ্যমূলক উদারতা—মোহন সিংএর নেতৃত্ব—আজাদ-হিন্দ-ফৌজ ও আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ গঠন—জাপ গভর্ণমেণ্টের সহিত সঙ্ঘর্ষ—সুভাষচন্দ্রের আগমন—সভাপতি রাসবিহারীর পদত্যাগ—‘নেতাজী’ সুভাষচন্দ্র—আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের কর্ম্ম-পরিষদ্—নারী বাহিনী—আত্মঘাতী বাল-সেনা—আজাদ-হিন্দ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা—ইম্ফল-অবরোধ—জাপ-গভর্ণমেণ্টের পতন-আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের বিলোপ—আজাদ-হিন্দ ফৌজের বিচার।

সুভাষচন্দ্র যখন ভারতবর্ষ হইতে পলায়ন করিয়া, অবশেষে বার্লিণে পৌঁছিয়া সেখানে অবস্থান করিতেছিলেন, প্রাচ্য ভূখণ্ডে এসিয়া মহাদেশে তখন ক্রমশঃ এক বিপুল পরিবর্ত্তন সাধিত হইতেছিল। শেষকালে এমন অবস্থা হইল যে, ইংরেজের সুপ্রতিষ্ঠিত সিংহাসন এসিয়া মহাদেশে টলটলায়মান হইয়া উঠিল।

 ১৯৪২ সালের প্রথম ভাগে ব্রিটিশ-শক্তি বিজয়ী জাপানীদের নিকট পরাভূত হইয়া দক্ষিণ-পূর্ব্ব এসিয়া হইতে সরিয়া আসিতেই বাধ্য হইল।

 ১৫ই ফেব্রুয়ারী তারিখে ব্রিটিশ নৌ-ঘাঁটির অন্যতম কেন্দ্র সিঙ্গাপুরের পতন হয়। ব্রিটিশ সৈন্যগণ পূর্ব্বাহ্ণেই পলায়ন