এবং পরে কর্ণেল গিল ও জেনারেলমোহন সিং উভয়কেই গ্রেপ্তার করা হয়।[১]
জেনারেলমোহন সিং বলেন, ১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসেই জাপানের বিজয়-সম্ভাবনা সর্ব্বাপেক্ষা অধিক ছিল। আর তখন ভারতকে এ কার্য্যে নিয়োজিত করাই তাহাদের অভিপ্রায় ছিল।
জাপ সামরিক কর্ত্তৃপক্ষ প্রথমে ‘ভারতীয় জাতীয় সেনাদল’ নামে আপত্তি করেন এবং ‘ভারতীয় স্বাধীনতা সেনাবাহিনী’ নামকরণ প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাঁহারা ‘ভারতীয় জাতীয় বাহিনী’ নাম করিতে চাহেন। কারণ, তাঁহারা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরই প্রতিনিধি। প্রভেদ এই যে, আজাদ-হিন্দ ফৌজ স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র ব্যবহার সমর্থন করেন, আর কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস সংগ্রামই চালাইতেছে।
উপসংহারে জেনারেলমোহন সিং বলেন, ভারতের স্বাধীনতার জন্যই আজাদ-হিন্দ ফৌজ গঠিত হইয়াছিল।[২]
কর্ণেল গিল ওমোহন সিংএর এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পরিষদের সভ্যগণ পদত্যাগ করেন। ইহাতে শ্রীরাসবিহারী অবস্থার গুরুত্ব বুঝিতে পারেন এবং জানান, তিনি অবিলম্বে জাপান যাইবেন এবং প্রধান-প্রধান বিষয়ে জাপানীদের স্পষ্ট নীতি কি, তাহা বাহির করিবেন। ইতোমধ্যে সঙ্ঘের কার্য্য চলিতে থাকিবে।