পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১২৯

কঠোর দণ্ডের কথা শুনিয়াও সমগ্র ভারতবর্ষ স্তব্ধ হইয়াছে।

 পরাধীন ভারতবর্ষের এক বাঙ্গালী অধিবাসীর সম্পর্কে অন্যান্য স্বাধীন দেশের অধিবাসীরাও যে কি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করেন, তাহা সুপ্রসিদ্ধ জাপানী সাংবাদিক মিঃ হাগিওয়ারার বিবৃতি পাঠ করিলেই স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম হইবে।

 ইউনাইট প্রেস্ অভ্ আমেরিকার প্রতিনিধির নিকট তিনি সুভাষচন্দ্র সম্বন্ধে যে বিবৃতি দিয়াছেন, তাহাতে প্রকাশ যে, ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দে মানিলায় এক সাংবাদিক-সম্মেলনে সুভাষচন্দ্র বসু তাঁহার নিজের ও গান্ধীর মতবাদকে একই লক্ষ্যে পৌঁছিবার স্বতন্ত্র পথ বলিয়া বর্ণনা করিয়াছিলেন; বসু এ-কথা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন, সামরিক কার্য্য-কলাপ, তাঁহার সহকর্ম্মী এবং ভারতীয় জনসাধারণের রক্তে উষ্ণতা সঞ্চার করিবে ও তাহাদের হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করিবে। তাঁহার প্রচেষ্টা হয়ত ব্যর্থ হইতে পারে এবং ব্যর্থতার নৈরাশ্যে শোচনীয় ভাবে হয়ত তাঁহাকে মরিতে হইতে পারে, কিন্তু তবুও তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভারতের মুক্তি-সংগ্রামের চরম সাফল্যের জন্য সশস্ত্র শক্তি-প্রয়োগ আবশ্যক।

 মিঃ হাসিওয়ারা বলিয়াছেন, “চারিবার আমি পূর্ব্ব-এসিয়ার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক-সম্মেলনে সুভাষচন্দ্রকে দেখিয়াছি—রেঙ্গুণে, ব্যাঙ্ককে, সিঙ্গাপুরে ও ম্যানিলায়। তাঁহাকে দেখিয়া আমার মনে হইয়াছে যে, তিনি অত্যন্ত তীক্ষ্ণধী।”