পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১৩৭

হইয়াছে যে, তিনি সর্ব্বশ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁহার সমগ্র জীবন মাতৃভূমির সাধনার জন্য কঠোর ত্যাগের নিদর্শন।”

 পণ্ডিত গোবিন্দবল্লভ পন্থ বলিয়াছেন:—“বৈদেশিক শাসন হইতে মাতৃভূমিকে মুক্তিদানের গ্বলন্ত মনোবৃত্তি দ্বারা সুভাষচন্দ্র গঠিত ছিলেন। সেই একটিমাত্র উদ্দেশ্য দ্বারা প্রণোদিত হইয়া তিনি জীবনপথে অগ্রসর হইয়াছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে সুভাষচন্দ্র একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিবেন”।

 শ্রীমতী কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় বলিয়াছেন:—“দুর্ঘটনার ফলে সুভাষচন্দ্র বসুর এই মৃত্যুতে দেশের সকলে শোকপ্রকাশ করিবে। তাঁহার দুঃসাহসিক মনোবৃত্তি এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য অবিচল অনুরাগে তিনি সর্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়াছিলেন এবং উহাই তাঁহাকে দেশের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বীররূপে পরিণত করিয়াছে”,

 নলিনীরঞ্জন মাষ্ঠার বলিয়াছেন:—“সুভাষচন্দ্র নিজের উন্নতিময় জীবন পরিহার করিয়া দেশের স্বাধীনতার কার্য্যে ঝাঁপাইয়া পড়িলেন। তাঁহার মৃত্যু-সংবাদে সমগ্র জাতি শোক-সাগরে নিমগ্ন। যে উদ্দেশ্যে তিনি আত্মবিসর্জ্জন দিয়াছেন, একদিন তাহা জয়যুক্ত হইবে এবং দেশবাসী তাঁহার বীরত্বময় আত্মত্যাগের মূল্য দিতে শিখিবে।”

 শ্রীযুক্ত বিশ্বনাথ দাস বলিয়াছেন:—“আমি স্বদেশপ্রেমিক আত্মার শোচনীয় পরিণামে শোক প্রকাশ করিতেছি।