পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশ

ব্যক্তিত্ব

সর্ব্বত্যাগী—তেজস্বী—বাগ্মী—পরদুঃখকাতর—বন্ধুবৎসল—অতুলন স্বদেশ প্রেম—অসাম্প্রদায়িক—চির-অমর।

সুভাষচন্দ্রের নৈতিক চরিত্রে কখন কোন কলঙ্কে রেখা পড়ে নাই; তিনি নিষ্কলঙ্ক চরিত্র লইয়া চির-ব্রহ্মচারীর মত পরলোকে প্রস্থান করিয়াছেন।

 সুভাষচন্দ্র দেশ-সেবার জন্য যে স্বার্থত্যাগ করিয়া গিয়াছেন, তাহা প্রাচীন যুগে ভীষ্ম এবং ঐতিহাসিক যুগে রাণা প্রত্যাগের মধ্যে পরিদৃষ্ট হয়। তিনি ইচ্ছা করিলে গভর্ণমেণ্টের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত থাকিয়া সাধারণ বাঙালী জীবনের ভোগসুখে কালাতিপাত করিতে পারিতেন। নবীন যৌবন, সুন্দর-সৌম্য আকৃতি, পাণ্ডিত্য, অর্থোপার্জ্জনের সুযোগ-সুবিধা তিনি সমস্তই দেশ-মাতৃকার হোমানলে আহুতি দিলেন।

 তাঁহার এই ত্যাগের কথা পর্য্যালোচনা করিলে রঘুবংশে মহারাজ দিলীপের প্রতি সিংহের উক্তি মনে পড়ে—

“একাতপত্রং জগতঃ সভুত্বম্
নবং বয়ঃ কান্তমিদং বপুশ্চ।
অল্পস্য হেতোর্বহু হাতুমিচ্ছন্
বিচারমূঢ়ঃ প্রতিভাসি মে ত্বম্।”

 সিংহ যেন মহারাজ দিলীপকে “বিচারমূঢ়” বলিয়া তিরস্কার করিয়াছিল, সাধারণ লোকও হয়ত সুভাষচন্দ্রকে ঠিক