সমগ্র দেশকে সামরিক শৃঙ্খলায় উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন—
“বর্ত্তমান কালে দেশে যুবক-আন্দোলন ও শরীর-চর্চ্চার আন্দোলনের দ্রুত প্রসার একটি বিশেষ আশার বিষয়। এই দুইটি আন্দোলনের মধ্যে সংযোগ-সাধন একান্ত দরকার।
যুবকগণকে ব্যায়ামের দ্বারা সুগঠিত, শিক্ষিত ও সংষত স্বেচ্ছাসেবকে রূপান্তরিত করিতে হইবে; তবেই আমরা নূতন এমন একটি পুরুষের আবির্ভাবের আশা করিতে পারিব, যাহারা ভারতের স্বাধীনতা অর্জ্জন করিয়া উহা রক্ষা করিতে পারিবে।”[১]
১৯২৭ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস-কমিটির সভাপতি এবং নিখিল-ভারত কংগ্রেস-কমিটির সাধারণ সম্পাদকরূপে কার্য্য করেন। ১৯২৯ খৃষ্টাব্দে তিনি নিখিল-ভারত ট্রেড-ইউনিয়ান কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। এই পদে তিনি ১৯৩১ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত কার্য্য করেন।
১৯২৯ খৃষ্টাব্দের জুন মাসে সুভাষচন্দ্র বঙ্গীয় কাউন্সিল নির্ব্বাচনে কংগ্রেস-কর্ম্মিগণকে পরিচালিত করেন। ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে কাউন্সিল ভঙ্গ হয় এবং অধিকাংশ
- ↑ “One of the hopeful features of the times is the rapid expansion of the youth movement and the physical culture movement all over the country. There must be a co-ordination between these two movements. Youths must be drillied, trained and disciplined as Volunteers. Then alone can we hope to rear up a new generation of men who will win freedom for India and have strength to retain it.”
—Ibid, P. 442(d).