পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
নেতাৰ্জী সুভাষচন্দ্র

সমগ্র দেশকে সামরিক শৃঙ্খলায় উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন—

 “বর্ত্তমান কালে দেশে যুবক-আন্দোলন ও শরীর-চর্চ্চার আন্দোলনের দ্রুত প্রসার একটি বিশেষ আশার বিষয়। এই দুইটি আন্দোলনের মধ্যে সংযোগ-সাধন একান্ত দরকার।

 যুবকগণকে ব্যায়ামের দ্বারা সুগঠিত, শিক্ষিত ও সংষত স্বেচ্ছাসেবকে রূপান্তরিত করিতে হইবে; তবেই আমরা নূতন এমন একটি পুরুষের আবির্ভাবের আশা করিতে পারিব, যাহারা ভারতের স্বাধীনতা অর্জ্জন করিয়া উহা রক্ষা করিতে পারিবে।”[১]

 ১৯২৭ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস-কমিটির সভাপতি এবং নিখিল-ভারত কংগ্রেস-কমিটির সাধারণ সম্পাদকরূপে কার্য্য করেন। ১৯২৯ খৃষ্টাব্দে তিনি নিখিল-ভারত ট্রেড-ইউনিয়ান কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। এই পদে তিনি ১৯৩১ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত কার্য্য করেন।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের জুন মাসে সুভাষচন্দ্র বঙ্গীয় কাউন্সিল নির্ব্বাচনে কংগ্রেস-কর্ম্মিগণকে পরিচালিত করেন। ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে কাউন্সিল ভঙ্গ হয় এবং অধিকাংশ

  1. “One of the hopeful features of the times is the rapid expansion of the youth movement and the physical culture movement all over the country. There must be a co-ordination between these two movements. Youths must be drillied, trained and disciplined as Volunteers. Then alone can we hope to rear up a new generation of men who will win freedom for India and have strength to retain it.”
    Ibid, P. 442(d).