পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

সম্মুখে স্বাধীনতার আদর্শ মুর্ত্তি উপস্থাপিত করিয়া, সেই আদর্শ অনুসরণের ভার যুবকগণের হস্তে সমর্পণ করেন।

 ১৯২৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি মধ্যপ্রদেশ ও বেরারের স্টুডেণ্টস্ কন্‌ফারেন্সের অমরাবতী-অধিবেশনে সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন।

 ভারতের স্বাধীনতার স্বরূপ সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধী ও তাঁহার অনুবর্ত্তিগণের সহিত কিছুকাল হইতেই তাঁহার অনৈক্য হইতেছিল। সুতরাং অবশেষে তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য-পদ পরিহার করেন। তিনি পুনরায় মহাত্মা গান্ধীর প্রস্তাবের সংশোধনের চেষ্টা করিয়া কলিকাতা-অধিবেশনের মতই অকৃতকার্য্য হইলেন।

 ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সুভাষচন্দ্র “দি বেঙ্গল স্বদেশী লীগ” গঠন করেন। তিনি নিজে এই লীগের সভাপতি ছিলেন। শ্রীযুক্ত ললিতমোহন দাস, ভাইস-প্রেসিডেণ্ট; শ্রীযুক্ত কিরণশঙ্কর রায়, জেনারেল সেক্রেটারী এবং শ্রীযুক্ত আনন্দজি হরিদাস কোষাধ্যক্ষ হইলেন। কলেজ স্ট্রীট মার্কেটে এই লীগের কার্য্যালয় অবস্থিত ছিল।

 বেঙ্গল স্বদেশী লীগের গবেষণা-শাখায় ডক্টর প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকার, শ্রীযুক্ত জিতেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, ডক্টর নলিনাক্ষ সান্যাল ও ডক্টর সুহৃদকুমার মিত্র সদস্য এবং ডক্টর হরিশচন্দ্র সিংহ সম্পাদক ছিলেন।

 লীগের উদ্দেশ্য ছিল—ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অর্থনীতিক