সম্মুখে স্বাধীনতার আদর্শ মুর্ত্তি উপস্থাপিত করিয়া, সেই আদর্শ অনুসরণের ভার যুবকগণের হস্তে সমর্পণ করেন।
১৯২৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি মধ্যপ্রদেশ ও বেরারের স্টুডেণ্টস্ কন্ফারেন্সের অমরাবতী-অধিবেশনে সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন।
ভারতের স্বাধীনতার স্বরূপ সম্বন্ধে মহাত্মা গান্ধী ও তাঁহার অনুবর্ত্তিগণের সহিত কিছুকাল হইতেই তাঁহার অনৈক্য হইতেছিল। সুতরাং অবশেষে তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য-পদ পরিহার করেন। তিনি পুনরায় মহাত্মা গান্ধীর প্রস্তাবের সংশোধনের চেষ্টা করিয়া কলিকাতা-অধিবেশনের মতই অকৃতকার্য্য হইলেন।
১৯৩০ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সুভাষচন্দ্র “দি বেঙ্গল স্বদেশী লীগ” গঠন করেন। তিনি নিজে এই লীগের সভাপতি ছিলেন। শ্রীযুক্ত ললিতমোহন দাস, ভাইস-প্রেসিডেণ্ট; শ্রীযুক্ত কিরণশঙ্কর রায়, জেনারেল সেক্রেটারী এবং শ্রীযুক্ত আনন্দজি হরিদাস কোষাধ্যক্ষ হইলেন। কলেজ স্ট্রীট মার্কেটে এই লীগের কার্য্যালয় অবস্থিত ছিল।
বেঙ্গল স্বদেশী লীগের গবেষণা-শাখায় ডক্টর প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীযুক্ত নলিনীরঞ্জন সরকার, শ্রীযুক্ত জিতেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, ডক্টর নলিনাক্ষ সান্যাল ও ডক্টর সুহৃদকুমার মিত্র সদস্য এবং ডক্টর হরিশচন্দ্র সিংহ সম্পাদক ছিলেন।
লীগের উদ্দেশ্য ছিল—ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, অর্থনীতিক