পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ইয়োরোপ-প্রবাস

১৪৪ ধারা অমান্য—গ্রেপ্তার—কারাবাস ও ইয়োরাপ যাত্রা—প্রত্যাবর্ত্তন ও পিতার মৃত্যু—আবার ইয়োরোপে—দেশবাসীর আমন্ত্রণে আগমন—গ্রেপ্তার—ইয়োরোপে তৃতীয়বার।

১৯৩১ খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের প্রথমে ব্যারাকপুরে এক শ্রমিক-কন্‌ফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত না হইবার জন্য সুভাষচন্দ্রের উপর ফৌজদারী কার্য্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়; কিন্তু চির-নির্ভীক সুভাষচন্দ্র গভর্ণমেণ্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করিয়া কন্‌ফারেন্সে যোগদান করিলেন।

 ঢাকায় পুলিশের অবৈধ কার্য্য-কলাপের তদন্তের জন্য বেসরকারী তদন্ত কমিটির সদস্যরূপে সুভাষচন্দ্র যখন ঢাকা যাইতেছিলেন, তৎকালে তেজগাঁও স্টেশনে তাঁহার উপর ১৪৪ ধারা অনুসারে পুনরায় এক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু সুভাষচন্দ্র এই বারও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া ঢাকা গমন করেন।

 সৌভাগ্যের বিষয়, উক্ত দুইবারের একবারও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অজুহাতে তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই।

 ১৯৩১ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সহিত পরামর্শ করিবার জন্য বোম্বাই গমন করেন। মহাত্মা তখন সবে মাত্র গোলটেবিল-বৈঠক হইতে ব্যর্থ-মনোরথ হইয়া ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিয়াছেন। মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে