পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৫৫

আধার—যদি আমরা সম্মিলিত হইয়া আমাদের শাসনকর্ত্তার সম্মুখে সাহসের সহিত দাঁড়াইতে পারি।

 ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে সুভাষচন্দ্র পুনরায় নিখিল-ভারতীয় জাতীয় মহাসমিতির ত্রিপুরী-অধিবেশনের সভাপতি নির্ব্বাচিত হন। কিন্তু নির্ব্বাচিত হইলেও, নির্ব্বাচন-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁহার বিজয়-গৌরব-লাভ জাতীয় ইতিহাসের এক ব্যথা-বিমণ্ডিত মসীলিপ্ত ইতিহাস।

 এবার নির্ব্বাচন-প্রার্থী ছিলেন তিনজন—মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ পট্টভি সীতারামিয়া ও সুভাষচন্দ্র। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তাঁহার ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য ডাঃ সীতারামিয়ার অনুকূলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হইতে সরিয়া আসিলেন; সুতরাং শেষ পর্য্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বী রহিলেন— দুইজন ডাঃ সীতারামিয়া ও সুভাষচন্দ্র।

 মহাত্মা গান্ধী ও তাঁহার অনুবর্ত্তিগণ ডাঃ সীতারামিয়ার অনুকূলে ছিলেন, তাঁহারা সুভাষচন্দ্রের সম্পর্কে বিরুদ্ধ মত পোষণ করিতেন। ইহার কারণ,—ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের ইচ্ছা ছিল, তাঁহারা দেশীয় রাজ্য ও ব্রিটিশ-শাসিত অংশ লইয়া এক যুক্তরাষ্ট্র গড়িয়া তোলেন। মহাত্মা-প্রমুখ নরমপন্থী রাজনীতিকগণ ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের এই আকাঙ্ক্ষার স্বপক্ষে ছিলেন; কিন্তু সুভাষচন্দ্র ও তাঁহার অনুবর্ত্তিগণ মহাত্মার দলীয় এই দুর্ব্বলতাকে আপোষ-মীমাংসার প্রচেষ্টা বলিয়া মনে করিতেন। তাঁহাদের অভিমত ছিল, আপোষ-মনোবৃত্তিতে কোনদিনই স্বাধীনতা আসিবে না। স্বাধীনতা অর্জ্জন করিতে হইলে