পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৬৫

 আহার্য্য পরিবেষণ সম্পর্কেও কয়েক দিন পূর্ব্বে তিনি নির্দ্দেশ দিয়াছিলেন যে, তাঁহার আহার্য্য লইয়া কেহ ভিতরে আসিবে না,—কক্ষের বাহিরে একটি টেবিলের উপর আহার্য্য রাখিয়া চলিয়া যাইবে, তিনি প্রয়োজন মত নিজেই তাহা আনিয়া লইবেন।

 মোট কথা, সুভাষচন্দ্র তাঁহার গৃহমধ্যেই নির্জ্জনে আধ্যাত্মিক জীবন অতিবাহিত করিতেছিলেন, কেবল এইটুকু সংবাদই সংগৃহীত হইল, তাঁহার পলায়নের পন্থা-সম্পর্কে কোন সংবাদই পাওয়া গেল না।

 সুভাষচন্দ্রের এই রহস্যজনক নিরুদ্দেশের পর কিছুকাল তাঁহার কার্য্যাবলী সম্বন্ধে কোনরূপ জ্ঞান আহরণ করা একেবারেই সম্ভব হয় নাই। তবে জনশ্রুতি, বৈদেশিক রেডিয়ো এবং সাংবাদিকগণের নিকট হইতে তাঁহার জীবন ও কার্য্যাবলী সম্বন্ধে যাহা জানা গিয়াছিল, আজ সেগুলি উন্মাদ জনরব বলিয়া প্রমাণিত হইলেও, কিছু কিছু এখানে লিপিবদ্ধ হইল।—

 অ্যাসোসিয়েটেড্ প্রেসের বোম্বাইয়ের সংবাদাতা তৎকালে লিখিয়াছিলেন,—

 “তিনি ১৯৪১ খৃষ্টাব্দে কলিকাতায় তাঁহার নিজ গৃহে অন্তরীণাবস্থায় ছিলেন। তথা হইতে সহসা একদিন তিনি অন্তর্হিত হন। তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করিয়া, গরুর গাড়ীতে লুকাইয়া আফগানিস্থানে যান।

 ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে তিনি বার্লিণ হইতে বেতার-বক্তৃতা করেন বলিয়া শোনা যায়। উক্ত বৎসরেই তিনি জাপানের টোকিও সহরে উপনীত হন। এই স্থানে জাপানীরা একদল ভারতীয় সৈন্যের সেনাপতি-পদে