১৯২৮ সালেও বুঝি সুভাষচন্দ্র এমনই এক স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন! সেবার কলিকাতায়ই ছিল কংগ্রেসের অধিবেশন, আর সভাপতি নির্ব্বাচিত হইয়াছিলেন পণ্ডিত মতিলাল নেহেরু।
জানিনা, সুভাষচন্দ্র সেদিন কোন সামরিক চিত্র বা জাতীয় বাহিনীর স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন কি না! সম্ভবতঃ সেরূপ কোন স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হইয়াই তিনি সেদিন কংগ্রেস-মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনীর অধিনায়ক-রূপে! তাঁহার সুদর্শন বলিষ্ঠ বপু সেদিন তরুণের অগ্রদূত-রূপে সকলের চক্ষুর সমক্ষে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছিল!
কিন্তু হতভাগ্য সুভাষচন্দ্র! সেদিনও তিনি ঈর্য্যা-বিদ্বেষের হীন মন্তব্য হইতে আত্মরক্ষা করিতে পারেন নাই। সুভাষচন্দ্র স্বেচ্ছা-সেবক-বাহিনীর ‘জেনারেল-অফিসার-কম্যাণ্ডিং’ বা G. O. C. নির্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। এই পদ-মর্য্যাদার অপভ্রংশ ‘গক্’ (GOC) শব্দটিকে লইয়াই কত না ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ হইয়াছিল। এমন কি মহাত্মা গান্ধীও সেদিন তাহাতে হীন দৌর্ব্বল্যই প্রকাশ করিয়াছিলেন।
“স্বেচ্ছাসেবক-বাহিনীর ও বাহিনীর অধিনায়কের যোদ্ধৃবেশ ও যোদ্ধাসম্ভব কুচকাওয়াজ দর্শনে সার্কাসের অভিনয়ের সহিত ব্যঙ্গাত্মক তুলনা গান্ধীজীই করিয়াছিলেন।”[১]
কিন্তু যিনি যতই তুলনা করুন বা যিনি যতই বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করুন না কেন, আজ পৃথিবীতে সুস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে
- ↑ আজাদ-হিন্দের অঙ্কুর।