পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৮৯

বালক রাজা রাজেন্দ্র বিক্রমের উপর রণবীর সিংহের প্রভাব দিন দিন অধিক হইতেছিল। তিনি মহারাজকে সর্ব্বদাই ভীমসিংহের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে চেষ্টা করিতেন। এই সময়ে মাতব্বর সিংহ নামে ভীমসেন থাপার এক ভ্রাতুষ্পুত্র দিন দিন শক্তিশালী হইয়া উঠিতেছিলেন। রণবীর সিংহ, ভীমসেন থাপা ও মাতব্বর সিংহের ঘাের বিদ্বেষী ছিলেন; কিন্তু স্বহস্তে কিছু করিতে পারেন নাই। যাহা হউক রণবীর সিংহ প্রমুখ দল দিন দিন শক্তিশালী হইয়া উঠিতে লাগিলেন। ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে মহারাজ রাজেন্দ্র বিক্রম সাহ ভীমসেনের দলের অনেক ব্যক্তিকে কর্ম্মচ্যুত করেন। এবং দামােদর পাঁড়ের পুত্রকে উচ্চ রাজকার্য্যে নিয়ােগ করিয়া তাঁহাদের সমুদায় ভূসম্পত্তি পুনঃপ্রদান করেন। এই সময় হঠাৎ মহারাজ রাজেন্দ্র বিক্রমের সর্ব্বকনিষ্ঠ একবৎসরবয়স্ক পুত্রটি মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অমনি মহারাজ বলিলেন যে, বালকটীর ভীমসেন থাপা কর্ত্তৃক প্রদত্ত বিষভক্ষণে মৃত্যু হইয়াছে। কিন্তু এরূপ কথিত আছে মহারাজ স্বয়ং সেই পুত্রকে হত্যা করিয়া ভীমসেনকে দণ্ড দিবেন এই হেতু এরূপ কর্ম্মে নিযুক্ত হইয়াছিলেন।

 ভীমসেন থাপার নামে এই অভিযােগ উপস্থিত করিয়া সমুদায় থাপা পরিবার, রণবীরসিংহ, মাতব্বর সিংহ, রাজবৈদ্য এবং আরও অনেক ব্যক্তির প্রতি অমানুষিক অত্যাচার সংঘটিত হয়। রাজবৈদ্য ব্রাহ্মণ বলিয়া তাহাকে হত্যা না করিয়া তাহার ললাট এরূপ দগ্ধ করা হয় যে মস্তকের ঘৃত বাহির হইয়া পড়ে। এই সমুদায় ব্যক্তিকে জাতিচ্যুত করিয়া সর্ব্বস্বান্ত করা হইল। একটি নেপালী