সম্পন্ন করিয়া পুনরায় কার্পেটারোহণ। আজিকার পথে দৃশ্য বড় সুন্দর। ক্রমে যত যাইতেছি দুই ধারে গভীর জঙ্গলাবৃত পর্ব্বতসকল অটল অচল হইয়া দাঁড়াইয়া আছে। চারি দিক নিস্তব্ধ। দিবাভাগেই ঝিল্লিকাগণ ঝিঁ ঝিঁ শব্দ করিতেছে। মাঝে মাঝে পর্ব্বতের গাত্র বহিয়া ঝর ঝর করিয়া ঝরণার জল পড়িতেছে। প্রকৃতির কি স্তব্ধ সুগম্ভীর ভাব! চারি দিকের সুন্দর শান্ত সৌন্দর্য্যে আমাদের প্রাণ বিস্ময়ে ও পুলকে স্তব্ধ হইয়া গেল। কোথাও দেখি পার্ব্বত্য নদী কল কল ছল ছল করিয়া যেন লাফাইতে লাফাইতে নামিয়া আসিতেছে। কি বিক্রম! কি গর্জ্জন! জল অতি স্বাদু, অতি নির্ম্মল, অত্যন্ত শীতল। পথে কেবল পর্ব্বত এবং জঙ্গল। মধ্যে মধ্যে কেবল দুই এক ঘর বসতি দেখিলাম। বাহকগণ সেখানে আহার ও বিশ্রাম করে। পথে হেটুরা নেবুয়াটার প্রভৃতি স্থানে পান্থনিবাস আছে বটে, কিন্তু বর্ষাকালে সেখানে “আউল” নামে ভীষণ ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়। এক বার তাহার কবলে পড়িলে আর রক্ষা নাই। আমরা এ সকল পান্থনিবাসে পদার্পণ করিলাম না। তৃতীয় দিন প্রায় ৯ক্রোশ পার্ব্বত্য পথ অতিক্রম করিয়া ভীমফেদীর পান্থনিবাসে প্রায় সন্ধ্যার সময়ে উপনীত হইলাম। এখানে বিস্তর যাত্রীর সমাগম দেখিলাম।
দ্বিতল গৃহে আশ্রয় লইলাম বটে কিন্তু স্বচ্ছন্দে বাস করিবার কোন বন্দোবস্ত নাই। আহারের ক্লেশ পথে যথেষ্ট। মোটা চিড়া ও মোটা চাউল ভিন্ন কিছুই মিলে না।
সঙ্গে প্রচুর আহারের সংস্থান করিয়া না আসিলে বিলক্ষণ