এই স্তূপের চারিদিকে সুন্দর মন্দির আছে বটে। তাহার কোনটা বা বুদ্ধ অমােঘসিদ্ধ কোনটা বা বৈরচন, কোনটা বা অমিতাভ প্রভৃতির মন্দির। প্রাঙ্গনে বৌদ্ধভিক্ষুদিগের জন্য বিহার সকল দেখিতে পাওয়া যায়। চারিদিকেই প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড ঘণ্টা।
মন্দিরের চতুর্দ্দিকে বৌদ্ধদিগের জপযন্ত্র বা মণি আছে। দর্শকগণ ঘণ্টাধ্বনি করিয়া এবং জপযন্ত্র ঘুরাইয়া পূজার ফল লাভ করে। স্বয়ম্ভু অদ্যাবধি বৌদ্ধদিগের প্রধান তীর্থ। নেপালে শীতকালে বিস্তর তিব্বতবাসীর সমাগম হয়। তাহাদিগের নিকট স্বয়ম্ভু অতি পবিত্র স্থান। নেপালবাসী নেওয়ারগণ সর্ব্বদা স্বয়ম্ভূনাথ দর্শন করিতে আসে বটে, কিন্তু হিন্দুদিগের নিকট এ স্থানের বিশেষ কোন সম্মান নাই। পশুপতিনাথের মন্দিরে হিন্দু বৌদ্ধ সকলেই গিয়া থাকে। এখানে জনসমাগম নাই বলিলেও হয়। প্রাঙ্গন, প্রায় জনশূন্য দেখিলাম। বানরদল, আনন্দে বিহার করিতেছে। স্বয়ম্ভূর মন্দির অত্যন্ত প্রাচীন। কথিত আছে দুই সহস্র বৎসর পূর্ব্বে নেপালরাজ গােরাদাস ইহার প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের নিকট প্রস্তরফলকে লিখিত বিবরণ হইতে কোন্ সময়ে কোন্ মহাত্মা এই মন্দিরের সংস্কার করিয়াছেন তাহা নির্ণয় করা যায়; যথা—
১। ১৫৯৬ সালে নেওয়াররাজ শিবসিংহমল্ল ইহার পূর্ণসংস্কার করেন।
২। ১৬৩৯ সালে লাসা হইতে আগত, সিয়া মা নামে জনৈক লামা ইহার পুনঃসংস্কার করেন।
৩। ১৬৫৩ সালে নেওয়াররাজ বিখ্যাত প্রতাপমল্ল আদি-