পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচারিণী । করিয়া মফস্বল মাইনর স্কুলের মাষ্টারী বা মাৰ্চেণ্ট অফিসের শিক্ষানবিশির জন্য প্ৰস্তুত হই নাই ; আহার নিদ্রা কিছুরই ভিন্ন ভাব ছিল না। তবে কেমন একটু আকর্ষণ ছিল, আফিমখোরেরা যাকে মৌতাত বলে। সন্ধার পরে বই কয়খানি বগলে করিয়া অনুকূলদের বাড়ী একবার করিয়া যাইতেই হইবে,—তা আকাশের বজুই ভাঙ্গিয়া পড়ুক, আর বাড়ীতেই হাজার কাজ থাকুক। সন্ধ্যার পর অনুকূলের পড়ার ঘরে সুপ্ৰভা রোজই একবার করিয়া আসিত। তাহার তথন মেীতাত ধরিয়াছিল কি না বলিতে পারি না, তবে সে আসিত । আমাদের সঙ্গে গল্প করিত ; অনর্থক নানা কথা পাড়িয়া আমাদের পড়ার ক্ষতি করিত। শেষে যখন হরকুমার বাবুর পত্নী আসিয়া রাগ করিতেন, তখন মায়ের সঙ্গে সে চলিয়া যাইত, আমরা দুইজনে টি গোনোমেষ্ট্রীর “ট্যান” “কট’’, व्ट्रेश्र दलिङः । এই ভাবে আমাদের দিন কাটিয়া যাইতেছিল। যোবার এল, এ পরীক্ষা দিব, সেইবার পূজার বন্ধের মধ্যে দাদার গয়ায় বদলীর সংবাদ আসিল । পাটনা ছাড়িয়া দাদাকে গয়ায় যাইতে হইল। আমি একটা ছাত্রদের মেসে থাকিব স্থির করিয়াছিলাম, কিন্তু হরকুমার বাবু ও তঁাহার স্ত্রী একবারে নারাজ ; অগত্যা আমি তঁহাদের বাসাতেই থাকিলাম। এতদিন সুপ্ৰভাকে ভাল লাগিত, কিন্তু তাহদের বাড়ীতে স্থায়াভাবে আঁড়া করিবার পক্স হইতে সে যেন আমার হৃদয়ের খানিকটা স্থান দখল করিয়া বসিল ; সুতরাং আমার পড়া শুনার যে রুটীন ছিল তাহার মধ্যে সুপ্ৰভাও একটা পড়ার বিষয় হইল। সম্মুখে এল, এ পরীক্ষার প্ৰকাণ্ড দানব সৰ্ব্বদাই বিকট মুখভঙ্গী করিয়া দাড়াইত, আর আমি সুপ্ৰস্থার চিন্তা ছাড়িয়া ইংরেজী সাহিত্যের নোটে মনঃসংযোগ করিতাম ; aa