পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচারিণী । একটা পথ করিবেন। আমার পৃথিবীতে কেহই নাই। কত কথা বলিতে চাহিয়াছিলাম ; কিছুই বলিতে পারিলাম না। আপনারা সকলে কেমন আছেন ? আপনার হতভাগিনী সুপ্ৰভা ৷” পত্ৰ পড়িয়া আমার যে মনের অবস্থা কি হইল, তাহা বলিতে পারি না । সুপ্ৰভা যে বিধবা হইয়াছে, তাহা আমি জানিতাম না ; অনুকুল যে লেখা-পড়া করিয়া এরূপ একটা জানোয়ার হইয়া উঠিয়াছে, তাহা ও আমি জানিতাম না। এখন উপায় ?-কাহার নিকট পরামর্শ লইব ? সুপ্ৰভাকে পত্র লিখিতেও সাহস হইল না ; কি জানি, অনুকুল কি তাহার স্ত্রীর হাতে যদি পত্ৰখানি পড়ে, তবে সুপ্রভার যন্ত্রণার ত সীমা থাকিবে না। একবার মনে করিলাম, দাদার কাছে গয়ায় যাই ; সেখানে দাদার পরামর্শ লইয়া যাহা হয় করিব ; কিন্তু আবার মনে হইল, দাদা কি করিবেন ? সুপ্ৰভা পরের মেয়ে, পরের বোঁ ; আমাদের তাহার সম্বন্ধে কিছু বলিবার বা করিবার কি অধিকার আছে ? সাত १ॉ5 ठादिश्। বাসায় চলিয়া আসিলাম। সমস্ত রাত্রি সুপ্রভার কথাই ভাবিলাম। শেষে ভাল হউক, মন্দ হউক, একটা কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়া ফেলিলাম। পরদিন প্ৰভাতের গাড়ীতেই আমি পাটনা রওনা হইলাম। সেখানে পৌঁছিয়া অনুকূলের বাড়ীতে না গিয়া একটা হােটেলে গিয়া উঠিলাম। অনেক দিন পাটনায় ছিলাম, ইচ্ছা করিলে দুই একজন পরিচিতের বাড়ীতে যাইতে পারিতাম ; কিন্তু আমি যে পাটনায় গিয়াছি, সে সংৰাদ কেহ জানিতে না পারে, ইহাই আমার ইচ্ছা। সন্ধ্যা গাঢ় হইলে আমি অনুকূলের বাড়ীর দিকে চলিলাম। পূৰ্বেই o