পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য রকমই মনে করিয়াছিলাম। পরদিন আসিব বলিয়া দোকান পরিত্যাগ করিলাম । কিন্তু টাকা কোথায়! দেড় শত টাকার আবশ্যক ; আমার মত সামান্য কম্পোজিটারকে কলিকাতা সহরের কোন লোক দেড় শত টাকা ধার দিতে পারে, এ কথা সম্ভব বলিয়া মনে হইল না ! লোকেরও সেজন্য অপরাধ দেওয়া যায় না। আমার কি দেখিয়া তাহারা টাকা দিবে ? কয়েকজন কম্পোজিটার বন্ধুর নিকট চেষ্টা করিলাম; তাহদের অধিকাংশের অবস্থাই আমার মত। শেষে জানিতে পারিলাম। আমাদের প্রেসের যিনি বড় বাবু তিনি মহাজনী করেন; স্থির করিলাম তাহার কাছেই ধার লাইব। কিন্তু এত টাকা ধার লইবার কি কারণ দেখাইব ? সত্য কথা বলা যায় না, মিথ্যাই বলিতে হইবে ; শ্বশুরের কোন আসন্ন বিপদের কথা জানাইয়া টাকা লইব । পাঠক, আমাকে মিথ্যাবাদী বলিয়া ঘূণা করিতেছেন, কিন্তু কি করিব, সত্য মিথ্যা তখন আমার জ্ঞান ছিল না। আমার তখন একমাত্র কথা মনে জাগিতেছিল-তােগা পরদিনই ফেরত দিতে হইবে ! নহিলে মান ইজ্জত সবই নষ্ট হয় ! রাত্রে আর বড়বাবুর কাছে গেলাম না, বাসায় ফিরিয়া আসিলাম । আসিয়া দেখি আমার স্ত্রী সেই এক স্থানেই বসিয়া রহিয়াছেন। এই দুদিনে বেচারার শরীরের অৰ্দ্ধেক রক্ত শুকাইয়া গিয়াছে। আমার নিজের মানসিক কষ্টের উপর তাঁহার অবস্থা দেখিয়া আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছিল। আমি তাঁহার হাত ধরিয়া তুলিলাম, তঁহাকে সান্তুনা দিয়া, আমি যাহা মতলব করিয়াছিলাম, তাহা সকলই খুলিয়া বলিলাম। তিনি বলিলেন, “এ টাকা শোধ হইবে কি করিয়া ?” আমি বলিলাম, “সুলোচনা, কিছু চিন্তা করিও না ; যদি আমার bዖ