পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের কাহিনী । যে খোলার বাড়ীখানাতে এতদিন সপরিবারে বাস করিতেছিলাম, তাহার ভাড়া কিছু বেশী ছিল ; তাহা ত্যাগ করিয়া আর একটি খোলার বাড়ীর একখানা ঘর মাসিক পাচ সিকায় ভাড়া লইলাম। একবেলা আহার ত্যাগ করিলাম। সমস্তদিন পরে সন্ধ্যার সময় দুটি মোটা চাউলের ভাত কোন দিন বেগুণ-পোড়া দিয়া, কোন দিন আধ্য পয়সার চিংড়িমাছ দিয়া উদারন্থ করিতাম ; তাহার পর অৰ্দ্ধ-পূর্ণ উদরে বহুবাজারের ‘বাসন্তী প্রেসে” ঠিকা কাজ করিতে যাইতাম। সেখানে প্ৰত্যহ পাঁচ ঘণ্টা কাজ করিয়া রাত্রি यांब्रांद्र जमग्र दांजांग्र शिब्रिडोंभ । অতি দুঃখের দিনও কাহারও পড়িয়া থাকে না ; আমার দিনও পড়িয়া রাইল না । কিন্তু বড় কষ্টে দিন কাটিতে লাগিল। আমার শরীর দিন দিন অবসন্ন হইয়া পড়িল ; তথাপি আমার লক্ষ্যপথ হইতে আমি বিচলিত হইলাম না। ছয় মাস পরে আমার মাথার অসুখ হইল ; মধ্যে মধ্যে মাথা ঘুরিয়া উঠে, শরীর এত দুৰ্বল যে, নিজের শরীর টানিবার সামর্থ্য, • পৰ্যন্ত ক্ৰমে কমিয়া আসিতে লাগিল। উপযুক্ত আহার নাই, চক্ষে ঘুম নাই, মনে শান্তি নাই, দুঃখময়, কষ্টময়, অসহনীয় জীবন প্রতিদিন অবিরাম পরিশ্রমে পাত করিতে লাগিলাম। জীবনের ভার এবং কৰ্ত্তব্যের কঠোরতা কি দুৰ্বহ । এমনই করিয়া আট মাস কাটিয়া গেল। পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ, এ আট মাসের শেষে বড় বাবুর দেন শোধ করিয়া তমসুক ফিরাইয়া লইয়া বাসায় আসিলাম। নিঃশেষিত তৈল নির্বাণোন্মুখ দীপশিখা নৈশবায়ুর তাড়নায় যেমন প্ৰতি মুহুর্তেই অন্ধকারে বিলীন হইবার উপক্রম করে, আমার নিঃশেষিত-শক্তি জীবনও সেইরূপ মৃত্যুর চির অন্ধকারে অচিরে আচ্ছন্ন হইবে বলিয়া অনুভব করিতে লাগিলাম। দেন শোধ করিয়া è à