পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগল । পিতা ইন্দুকে অবিলম্বে লইয়া যাইবার জন্য অনুরোধ করিয়াছেন । রাজেন্দ্ৰবাবু, স্ত্রী ও কন্যা লইয়া সেই রাত্রেই মৈনপুরী যাত্ৰা করিলেন; কিন্তু রামলাল বাবুর গৃহে উপস্থিত হইয়া আর পরেশকে দেখিতে পাইলেন না, পরেশ নিদারুণ বিসুচিকায় আক্রান্ত হইয়া মাটির দেহ মাটিতে ফেলিয়া রাখিয়া আলোকহীন, আত্মীয়স্বজনশূন্য এক অনুদ্দিষ্ট অজ্ঞাত দেশে চলিয়া গিয়াছে। পরেশের সোনার দেহ শ্মশানে ভস্মীভূত করিয়া অন্ধকারময় গৃহে ফিরিয়া আসিয়া রামলাল বাবু দেখিলেন পুত্রবধূকে লইয়া বৈবাহিক উপস্থিত। রাজেন্দ্রবাবু বিদীর্ণ হৃদয়ে গৃহকোণে বসিয়া অশ্রুবর্ষণ DBBD BB S BBD BD DBD D DBD BDBD D DBBD S মানুষ যখন শোক-দুঃখ-বিদীর্ণ হৃদয়ে সর্বসুখদুঃখের অতীত সৰ্ব্বদর্শী বিধাতার কাৰ্য্যের দোযোদঘাটনে প্ৰবৃত্ত হয়, তখন সেই সৰ্ব্বান্তৰ্য্যামী নিখিল চক্ষুর অন্তরাল হইতে সম্পূর্ণ উদাসীন দৃষ্টিতে তাহার অমোঘ ; ইচ্ছার শেষফল নিরীক্ষণ করেন ; এবং তঁহার অমর-নেত্ৰ হইতে বিন্দুমাত্র অশ্রুও বিগলিত হয় কি না, তাহা কে বলিতে পারে ? স্ত্রী ও কন্যা লইয়া শোকাকুল হৃদয়ে রাজেন্দ্ৰবাবু কাৰ্যস্থলে প্ৰত্যাগমন । করিলেন। র্তাহার একমাত্র নয়নপুত্তলি, জীবনের অবলম্বন শিশুকন্যা সিঁথির সিন্দুর মুছিয়া চিরদিনের জন্য তাহার গৃহে বাস করিতে আসিল । তিনি ভগবানের নিকট কামনা করিয়াছিলেন, তঁহার কন্যাকে যেন কখন ছাড়িয়া থাকিতে না হয় ; ভগবান তাহার সেই কামনাই পুর্ণ করিয়াছেন বটে, কিন্তু তিনি কি কখন স্বপ্নেও ভাবিয়াছিলেন যে, এই ভাবে তাঁহার কামনা পূর্ণ হইবে ? পাষাণ-ভার হৃদয়ে চাপাইয়া, প্ৰাণের শক্তি চির-বিসর্জন দিয়া রাজেন্দ্ৰ () S