পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য , মুক্ত হাসির মত কোন প্ৰসন্ন হাস্যচ্ছটা বিস্মৃত অতীতের স্বপ্ন-আবরণ ভেদ করিয়া বালিকার হৃদয়ে যখন ধীরে ধীরে সমুদিত হইত, তখন অভাগিনী ইন্দু আর আত্মসম্বরণ করিতে পারিত না, সকলের লক্ষ্য। হইতে দূরে দ্বিতলস্থ তাহার নিভৃত কক্ষটিতে প্ৰবেশ পূর্বক দ্বার বন্ধ করিয়া দিত, এবং মৰ্ম্মরশুভ্ৰ মেঝের উপর পড়িয়া লুটাইয়া আকুল হৃদয়ে বলিত, “হে অনাথিনাথ, হে হরি, আমার সর্বস্ব কাড়িয়া লইয়া আমাকে কাঙ্গালিনী করিয়াছ, আমার এ মনের আগুনও নিবাইয়া দাও। আমার সুখের দুঃখের সকল স্মৃতি, আমার জীবন মরণের সকল BDBDS KDB BDDBBB BDB BDD DDB DB DS DD আর সহ করিতে পারি না প্ৰভু!”-শোক-ভার লাঘব হইলে, ইন্দু ধীরে ধীরে গৃহকৰ্ম্মে ব্যাপৃত হইত। মা কোন কোন দিন তাহার অশ্রুসজল ভাব ধরিয়া ফেলিতেন ; নিঃশ্বাস ফেলিয়া জিজ্ঞাসা করিতেন—“ইন্দু, তোর চোখ ভিজে ভিজে লাগচে যে, কেঁদেছিস বুঝি ?”-বলিতে বলিতে মায়ের চোখে মোটা মোটা দুইটি মুক্তাবিন্দু দেখা দিত। ইন্দু হাসিয়া তাঙ্গার চোখের জলে সিক্ত, সরল, আদরপূর্ণ, কোমল স্বরে বলিত-“মরণ! কঁাদবো কোন দুঃখে । চোখে বুঝি কি একটা পোকা পড়েছিল।”-মা বৈধব্যযন্ত্রণ জানিতেন না ; ইন্দু মনে করিত, মাকে খুব ফাঁকি দেওয়া গেল! DD BBBS BB DD GDB BDBDBDS DDD D DBBB DD DBD BBBD পারিত না, তাই নিজের যন্ত্রণা লুকাইতে গিয়া তঁহাদের অধিকতর যন্ত্রণার কারণ হইত।—এমনই করিয়া দিন কাটতে লাগিল। যাহাহউক, এ ভাবে দিন কাটলেও কথা ছিল না, কিন্তু তাহাও কাটল না। একদিন কাছারী হইতে ফিরিয়া রাজেন্দ্রবাবুর শরীর সামান্য অসুস্থ হইল, রাত্রে সেই অসুখ বাড়িল। ডাক্তার আসিলেন, ঔষধের R O