পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য কলসী কক্ষে স্নান করিতে আসিতেছে। তাহাকে দেখিয়াই আমির ক্ষণকালের জন্য থমকিয়া দাড়াইল ;—তাহার পর এক দৌড়ে পলায়ন । V আমির সত্যসত্যই পাগল হইয়াছে। তাহার মুখে কথা নাই ; সারাদিন মুখোপাধ্যায়দের বাহির-বাড়ীর উঠানের পাশে একটা লম্বা ঘরের বারান্দায় পড়িয়া থাকে। সারাদিন সে সেখান হইতে নড়ে না, কোথাও যায় না ; রাত্ৰে উঠিয়া খানিকক্ষণ রাস্তায় দৌড়িতে থাকে। তাতার ব্ৰাপ মা কতদিন তাহাকে জোর করিয়া বাড়ী লইয়া গিয়াছে; হাত পা বঁধিয়া রাখিয়াছে ; কিন্তু যদি কোন প্রকারে সে একবার ছাড়া পাইয়াছে, আমনি এক দৌড়ে ব্ৰাহ্মণবাড়ীর বারান্দায় আসিয়া হাজির! কাহারও সহিত সে কথা কহে না, কাহারও প্ৰতি কোন অত্যাচার করে না, শুধু সেই বাড়ীর ভিতরকার দ্বারের দিকে চাহিয়া সে বসিয়া থাকে। বিধবা ইন্দুর হৃদয় এই পাগলের দুঃখে গলিয়া গেল। আহা, এমন জোয়ান ছেলে, পাগল হইয়া গেল ! এই কথা সৰ্ব্বদাই তাহার, মনে হইত। প্রতিদিন দ্বিপ্রহরে সে পাগলকে ভাত দিয়া যাইত। একখানি কলাপাতায় করিয়া ভাত ব্যঞ্জন দিতে ; আর একটা মটীর ভাড় ছিল, তাহাতেই জল দিত। ইন্দু প্ৰথম প্রথম ভাত দিয়াই চলিয়া যাইত; কিন্তু বিকালে কি অন্য সময়ে আসিয়া দেখিত, যেমন ভাত তেমনি পড়িয়া আছে ; তখন দয়াময়ী ইন্দু সেখানে দাড়াইয়া যেই বলিত, “আমির, ভাত খাও” আর অমনি পাগল গােগ্রাসে ভাতগুলি খাইয়া ফেলিত। ইন্দু বলিত “আমির, পাতখানি ফেলিয়া মুখ ধুইয়া এস ;” আমির অবিলম্বে আদেশ পালন করিত। لهاryمره ՀԵ ” دي