পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*i१ांदन । ইন্দুর এখন এক কাজ বাড়িল ;-প্রতিদিন পাগলকে খাওয়ান। জ্যোঠামহাশয় এক এক দিন দাড়াইয়া এই দৃশ্য দেখিতেন, আর বলিতেন, “ম আমার অন্নপূর্ণা,-আমার মায়ের গুণে পাগলও বিশ হয়।” হায় ব্ৰাহ্মণ, কি বুঝিবে তুমি! আর কি আত্মসংবরণ, কি ইন্দ্ৰিয়জয়ের শক্তি ঐ নিরক্ষার চাষার ছেলে আমিরের ! তাহার সাধনার ধন, তাহার জীবনের অবলম্বন, তাহার তৃষ্ণার জল, তাহার কল্পনার সর্বস্ব প্ৰতিদিন তাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়ায় ; তাহার ক্ষুধায় অন্ন, পিপাসার জল দিয়া যায় ; কিন্তু যে ক্ষুধায় তাহার প্রাণ জ্বলিতেছে, যে মহাতৃষ্ণায় তাহার ছাতি ফাটিয়া যাইতেছে, আমির তাহা হৃদয়ের অন্তস্তলে লুকাইয়া রাখিয়াছে, একদিনও সে ভাল করিয়া তাহার আরাধ্যা দেবীর মুখের দিকে তাকাইতে পারিল না । এই ভাবে পাগলের দীর্ঘ তিন বৎসর কাটিয়া গেল। পাগল ব্ৰাহ্মণবাড়ীর বারান্দায় দিন কাটাইতে লাগিল । একদিন দ্বিপ্রহরে তাহার খাবার আসিল না। কি হইয়াছে,-পাগল তাহা ভাবিয়া পাইল না। ক্ষুধা তাহার ছিল না, ক্ষুধাতেও সে কাতর নহে ; রূপের তৃষ্ণায় তাহার হৃদয় নিশিদিন জ্বলিয়া যাইতেছে। যাহার রূপ দিনান্তে একবার দেখিতে পাইলেও তাহার তৃষিত প্ৰাণ শীতল হয়, সে কৈ ? আমির অধীর ভাবে প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। অনেকক্ষণ পরে ইন্দুর মা আসিয়া তাহাকে ভাত দিয়া গেলেন। পাগল ভাবিল, এমন তা হয় না ; ব্রাহ্মণকন্যা ভিন্ন এ তিন বৎসর আর তাকেঁহ তাহাকে খাইতে দেয় নাই, একটি মিষ্ট কথা বলে নাই, করুণ নেত্রে उशिज्ञ দিকে ফিরিয়াও চাহে নাই। আজ তাহার কি হইয়াছে, কেন সে RR