পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতীক্ষা । তালিকা আমার কাছে পছন্দ করিবার জন্য ক্রমাগতঃ পেশ হইতে লাগিল। নাম দেখিয়া পছন্দ করিতে হইলে অনেকগুলিই করিতে হয়, সুতরাং একটাও পছন্দ করিলাম না। পিসিমা ও দিদি রাগ করিয়া, ভ্রাতৃজায়া অভিমান করিয়া অস্থির । কি করিব ভাবিতেছি, সহসা একদিন কলেরা একটা উদাম ঘূর্ণাবৰ্ত্তের মত আসিয়া আমার বাবার দেহমুক্ত আত্মা শূন্যে লইয়া গেল। বাবার একমাত্ৰ ইচ্ছাও পূর্ণ করিলাম না। R আমি এণ্টে ক্ষস ফেল করিয়া কলিকাতা হইতে ম্যাটুসিনী গ্যারিবল ডির একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ রূপে বাড়ী আসিয়াছিলাম ; ভাবিয়াছিলাম পিতার অর্থেই স্বদেশহিতৈষিগণের অগ্রগণ্য হইতে পারিব। এ বাক্যযুদ্ধের যুগে যশস্বী হইতে অধিক আয়োজনের আবশ্যক করে না, কিঞ্চিৎ অর্থব্যয় মাত্ৰ ; তাহার অভাব হইবে না । কিন্তু মানুষ কখন যে কথা ভাবে না, বিধাতা অনেক পূর্বেই সে কথা ভাবিয়া রাখেন। তাহার পর হঠাৎ মানুষের আশাভঙ্গ, উৎসাহভঙ্গ হইতে দেখিয়া তাহার সর্বদর্শী দেবনেত্ৰ হইতে সহানুভূতির অশ্রু বিগলিত হয় কি না, তাহা তিনি ভিন্ন আর কেহ বলিতে পারে না। সমস্ত আশা মরুভূমির মরীচিকার মত একদিন সহসা শূন্যে মিলাইয়া গেল। বাবা যে সাহেব-জমীদারের দেওয়ানের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেন, তিনি আমার নামে বৰ্দ্ধমানের সবজজ আদালতে বিশহাজার টাকার দাবীতে এক নালিশ রুজু করিলেন। বাবা রাণীগঞ্জে একটা কয়লার কারবার খুলিবার জন্য এ টাকা নাকি দেওয়ানজীর নিকট কার্জ লইয়াছিলেন ; আমি ইহার ৰিন্দুবিসৰ্গও জানিতাম না। একদিন সকাল ৰেলা সুখসুপ্তি ভঙ্গে জানিতে পারিলাম, ঘর, বাড়ী বাগান, জমজমা সমস্ত রেহানে আবদ্ধ, VO