পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ নৈবেদ্য বসিয়াছিলাম, কেবল এক কৌলীন্য গৰ্ব্ব ছিল,-আমরা মহাকুলীন। হরিরামপুরের সৰ্বেশ্বর মুখোপাধ্যায় আসিয়া পিসিমার পায়ের উপর আছভূইয়া পড়লেন, আমি তাহার কন্যাকে বিবাহ না করিলে তাঁহার জাতি রক্ষা হয় না। আমার সন্মতির অপেক্ষামাত্র না করিয়া পিসিমা মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে কথা দিলেন, “তোমার জাতি রক্ষা যাহাতে হয় তাহা করিব।” Y আমি এ সকল কথার কিছুই জানিতাম না। চৈত্রমাসের একদিন শনিবারে বাড়ী আসিলাম। দিদি ভাত দিয়া দ্বারপ্রান্তে দাড়াইয়া আছেন, আমি আহার করিতে বসিয়াছি, পিসিমা কাছে বসিয়া বাতাস করিতে । করিতে কথায় কথায় বলিলেন, “বাবা গিরিশ, আমি তোর কাছে কখন কিছু ভিক্ষা চাইনি। আর বেশী দিন বাঁচব না, আমাকে একটা ভিক্ষা দিবি?”—আমি মুখ তুলিয়া বলিলাম, “তুমি এ কি কথা বল পিসিম, আমার কাছে কি ভিক্ষা চাও?-তুমি আমাকে মানুষ করেছ, তোমার স্নেহে আমি কোন দিন মায়ের অভাব জানতে পারি নাই, তুমি যে হুকুম করবে। আমার সাধ্য হলে তাই পালন করব।” পিসিমা বলিলেন, “হরিরামপুরের সৰ্বেশ্বর মুখুয্যের মেয়ে, যেমন রূপ, তেমনি গুণ, চোদ হতে এই পনরায় পা দিয়েছে। সেবার গঙ্গাস্নান করতে গিয়ে দেখে এসেছি ; ওদের সঙ্গে আমার শ্বশুরদের একটু সম্বন্ধও আছে। সৰ্বেশ্বর আমার কাছে এসে কেঁদে পড়েছিল, বলে, তুই যদি লক্ষ্মীকে বিবাহ না করিসিত ব্ৰাহ্মণের জাত যায়। আমি তাকে কথা দিয়েছি, তোকে এই “ মেয়ে বিয়ে করতেই হবে। বুড়ীর মুখ রাখ, ব্রাহ্মণের জাত বাঁচা। এ ত অকৰ্ম্ম নয় বাবা; এই বৈশাখের দশই আর ছাব্বিশ ভাল দিন আছে।” 8 O