পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতীক্ষা । আমি আকাশ হইতে পড়িলাম। কোন কথা না বলিয়া পিসিমার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম, ভাতের গ্ৰাস মুখে উঠিল না। পিসিমা কাতরম্বরে বলিলেন, “এই দেখ বুড়ো হয়েছি, বড় জোর আর দু'বৎসর বাঁচব, আমার শেষ সাধ পূর্ণ করবি নে ? একটা ভিক্ষা তোর কাছে চাইলাম, পাব না ? বিয়ে করা কি এতই শক্ত কাজ বাবা ?” আমি বলিলাম, “শক্ত কে বলে ? খুব সহজ, নতুবা এ হতভাগা দেশে যার একসন্ধ্য আহার জোটে না, তারও বিবাহের কনের অভাব হয় না কেন ? কিন্তু পিসিমা, পরিবার প্রতিপালন বড় কঠিন কাজ ; কোন রকমে আমাদের সংসার চলছে, তার উপর আবার ভার বাড়ালে কেমন করে চলবে ?” পিসিমার দুই চক্ষু জলে ভাসিয়া উঠিল ; রুদ্ধকণ্ঠে বলিলেন, “শেষ । ভিক্ষা চাইলাম, তাও দিলি নে। ঈশ্বর তোর মঙ্গল করুন, কিন্তু আমি আর তোর সংসারে থাকব না ; আজ যদি তোর মা এমনি করে কেঁদে তোকে ধরত, তার চোখের জল এমন ভাবে অগ্ৰাহ করতে কি 6ऊाद्र झाङ्न श्ठ ?' আমি স্থির থাকিতে পারিলাম না ; পিসিমার এ অভিমান তঁাহার উদার বিধবা-হৃদয়ের উন্মুক্ত স্নেহেরই উপযুক্ত ; বলিলাম, “কাল জবাব দিব। তুমি আক্ষেপ করো না।”-রাত্রে আর আমার ভাল করিয়া খাওয়া হইল না । " সমস্ত রাত্ৰি চিন্তা করিলাম, কত আকাশ পাতাল চিন্তা ! বিবাহ করিব,-করিয়া কি সুখী হইব ? আমার সঙ্গীহীন একক জীবনটাতে আমি বেশ অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছি। প্রেমের মোহ কি জানি না, কখন। তাহাতে মুগ্ধ হই নাই, কিন্তু এরূপ বিবাহে সুখের আশা বিড়ম্বন মাত্র, 8S