পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য “তোমরা: আমার উপর অত্যাচার করিতেছ ; আমার উদ্বেগ তোমাদের দেখাইবার নয়।” তাহাদের সঙ্গে দুই পা অগ্রসর হইয়াছি, এমন সময় বিশু খুড়ো আসিয়া আমাকে ধরিলেন ; ভগ্নকণ্ঠে বৃদ্ধ বলিলেন, “গিরিশ, আমাদের সৰ্ব্বনাশ হয়ে গেছে। কি কলেরাই যে হোল, বঁাচাতে পারলাম नां ।” আমার চক্ষুর সম্মুখে পৃথিবীর সমস্ত আলো নিবিয়া গেল। আমার মস্তিষ্ক বোধ হয় একটা উত্তপ্ত রক্তপিণ্ড মাত্র হইয়া রহিল। আমি বাঙািল নিস্পত্তি না করিয়া বাড়ীর দিকে কলের পুতুলের মত চলিলাম। আমাকে প্ৰাঙ্গণে প্ৰবেশ করিতে দেখিয়াই পিসিমা কঁাদিয়া উঠিলেন, দিদি উঠানে তুলসীমূলে লক্ষ্মীর মৃতদেহের কাছে বসিয়া ছিলেন ; আমি সেখানে যাইতে তিনি আছড়াইয়া পড়িলেন, বলিলেন, “সেই রে ভাই, কেন তুই দশটার গাড়ীতে এলিনা। “দশটার গাড়ী কি গিয়েছে ঠাকুরবি?” এই কথা ছাড়া যে তার মুখে অন্য কথা ছিল না। তোকে একবার দেখবার জন্যে তার প্রাণটা সুস্থির হয়ে বেরুতে পারেনি।” আমি লক্ষ্মীর মাথার কাছে বসিয়া পড়িলাম। কঁাদিব। ইচ্ছা করিলাম, রোদিন আসিল না ; দুই হাতে মুখ ঢাকিয়া বসিয়া কি ভাবিতে লাগিলাম জানি না। অবশেষে যখন হৃদয় সংযত হইল, শোকের মেঘ গলিয়া অশ্রদ্ধারায় পরিণত হইল, তখন আমি কৃতাঞ্জলিপুটে যি গলিত নেত্ৰে डशवांनcक ७ांकिमा दक्लिक्षांभ- - “হে অনাথিনাথ, চিরমঙ্গলময় বিধাতা, তুমি আমার হৃদয়ের সর্বস্ব হরণ করিয়া আমার জীবন শূন্যময় করিলে, এখন আমায় শান্তি দিয়া এই শূন্যতা পূর্ণ কর ”—একটা বাষ্পময় উত্তাপে হৃদয় নিপীড়িত R