পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য পারেন। এ দক্ষতা আমাদের নাই। আগন্তুক যুবকটিই প্ৰথমে আমার পরিচয় লইলেন ; আমি কি করি, কোথায় থাকি, বাড়ী কোথায় প্রভৃতি সব কথাই হইল। নাম জিজ্ঞাসা এখনকার দিনে সভ্যতা বা ভদ্রতাবিরোধী, সুতরাং তিনি আমার নাম জিজ্ঞাসা করিলেন না ; অথচ অন্যান্য পরিচয় হইয়া গেল। তিনি তাহার এই অবিবাহিতা ভগিনীটিকে লইয়া কলিকাতায় যাইতেছিলেন। অনেক স্থান হইতে সম্বন্ধ আসিয়াছে ; কেহ কেহ তঁহাদের বাড়ীতে আসিয়াও ক’নে দেখিয়া যাইতেছেন; কিন্তু যাহারা খাস কলিকাতাওয়ালা, তাহারা বড় সহজে পাড়াগায়ে আসিতে চান না। কলিকাতায় নিজেদের বাসা আছে, ইনি ভগিনীকে লইয়া সেখানেই যাইতেছেন। সেখান হইতে দেখা শুনার সুবিধা হইবে। আমি সহসা কৌতুহলভারে একবার কিশোরীর দিকে চাহিয়া দেখিলাম ; সুন্দরী বটে ! কিছু অপ্ৰতিভ হইয়া চক্ষু ফিরাইয়া লইলাম। কে জানিত ঠিক সেই মুহুর্তে সে-ও দুখানি শতদল-দলের ন্যায় সুকোমল উৎফুল্ল দৃষ্টিতে আমার মুখের দিকে চাহিবে। ভদ্রলোকটর সঙ্গে নানা কথা চলিতে লাগিল ; কথায় কথায় তিনি শুনিলেন যে, আমি তখনও বিবাহ করি নাই। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এতদিনও বিবাহ করেন নাই কেন ?” - আমি বলিলাম “তেমন তাড়াতাড়ি বোধ হইতেছে না ; পাশটাশ গুলো হয়ে যাক, তখন ধীরে সুস্থে যা হয় করা যাবে।” তাহার পর অন্যান্য অনেকী কম্বাবার্তায় ‘অনেক সময় কাটিয়া গেল। হাবড়া ষ্টেশনে গাড়ী আসিয়া লাগিল। তাঁহারা তাহাদের ঘরে চলিয়া গেলেন। আমি একখানি তৃতীয় শ্রেণীর অনিন্দ্যসুন্দর। গাড়ী ভাড়া করিয়া আমার আমহাষ্ট ষ্ট্রীটের মেসে আসিয়া পৌছিলাম ।