পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऐमएसछ আসিলাম, কিন্তু সে কথা আমাদের আর মনে রহিল না। আমি ত স্তম্ভিত হইয়া পড়িলাম, কন্যাকৰ্ত্তাগণের কান্না দেখিয়া আমার কান্না পাইতে লাগিল। আমি সেখানে দাড়াইতে পারিলাম না । সে বাড়ী ত্যাগ করিয়া রাস্তায় আসিয়া বেড়াইতে লাগিলাম ; শুধু মনে হইতে লাগিল। আজ যদি আমার বন্ধু বিবাহ না করেন, তাহা হইলে এই গরীব ভদ্রলোকের কি উপায় হইবে । অতি দরিদ্র অবস্থা বলিয়াই ইনি এরূপ কৰ্ম্ম করিয়াছেন। আবার মনে হইল মনুষ্য এমন নিৰ্দয় হইতে পারে না; নিশ্চয়ই বিবাহ হইবে। পথে ঘুরিতেছি আর এই কথা ভাবিতেছি, এমন সময়ে দেখিলাম বন্ধুটীর পিতা পিতৃব্য আত্মীয় বন্ধু বরযাত্ৰ সকলে গোলমাল করিতে করিতে সে বাড়ী ত্যাগ করিয়া যাইতেছেন, আর বুদ্ধ কন্যাকৰ্ত্ত কঁাদিতে কঁাদিতে র্তাহাদের পায়ে ধরিতেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে যাইতেছেন। আমি এ দৃশ্য আর দেখিতে পারিলাম না ; আমরা যে কয়েকটি বন্ধু আমাদের মেস হইতে গিয়াছিলেন। তঁহাদিগকে নিকটে ডাকিলাম এবং ধীরভাবে দৃঢ়তার সহিত বলিলাম, “আমি আজ এই বিবাহ করিয়া এই গরীবের দায় উদ্ধার করিব, তোমরা আইস !” আমার কথা শুনিয়া প্রথমে কেহ বিশ্বাস করিলেন না, শেষে যখন আমি প্রতিজ্ঞার কথা বলিলাম, তখন সকলেই সন্তুষ্ট হইলেন। " - আমরা ফিরিয়া গেলাম। আমার পরিচয় পাইয়া কন্যাকৰ্ত্তার দুই তিন জন আত্মীয় আমাকে চিনিলেন। ক’নে দেখা হইল না ; অলঙ্কারের কথা হইল না সেই রাত্রে আমি বরযাত্র হইয়া গিয়া বরের আসন অধিকার করিয়া বসিলাম। যৌবন-সুলভ। সহানুভূতির উত্তেজনায় মা ও দিদিকে জিজ্ঞাসা না করিয়াই বিবাহ করিতে বসিয়া গেলাম। যথাসময়ে শুভদৃষ্টি হইল ; আমি আর আমার স্ত্রীর মুখের দিকে চাহিলাম না; আমি তখন একটা খুব উচু সুরে হৃদয় বাঁধিয়াছিলাম। 8