পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের কাহিনী । একাদশবৰ্ষীয়া পুত্রবধু অবিলম্বে গৃহে আনিলেন; তখন আমি সপ্তদশ বৎসর অতিক্ৰম করিয়াছি। মানুষ এক ভাবিয়া কাজ করে, অনেক সময় তাহার ফল হয় ৰিপরীত। বিবাহের ছয় মাস পরে আমার পিতার কাল হইল। গৃহে আমরা স্বামী-স্ত্রী, কিন্তু একটি কপর্দকও সম্বল নাই। গ্ৰামস্থ পাঁচজন সহৃদয় লোকের সাহায্যে কোন প্রকারে পিতৃদায় হইতে উদ্ধার হইলাম। তাহার পর কি খাইয়া দিন কাটাইব, তাহার উপায় দেখিলাম না। ইহার উপর আর এক বিপদ উপস্থিত। বাবা যে জমীদারের চাকরী করিতেন, তাহার হৃদয় নামক পদার্থটা ছিল না। বাবা প্ৰাণপণে প্রভুর সেবা করিয়া গিয়াছেন; তাহার প্ৰত্যুপকার স্বরূপ ভৃত্যুবৎসল মনিব হিসাব-নিকাশ করিয়া অনেক টাকার জন্য বাবাকে দায়ী করিলেন। বাবা তখন স্বৰ্গে ; দেনার দায় আমার ঘাড়েই পড়িল। সম্পত্তির মধ্যে একখানি খোড়ো বাড়ী ; জমীদারের দৃষ্টিপাতিমাত্র দেখিতে দেখিতে সেই স্থাবর সম্পত্তিটুকু উড়িয়া গেল। এই বিস্তীর্ণ পৃথিবীতে আমাদের স্বামী স্ত্রীর পরিধেয় বস্ত্ৰ ব্যতীত, শোক-কাতর, দারিদ্র্যকষাহত অৰসন্ন দুইটী দেহ ভিন্ন, স্থাবরা স্থাবর আর কিছুই বর্তমান রহিল। না। অষ্টাদশ বৎসর বয়সে, প্রথম যৌবনে,--যখন পৃথিবী স্বৰ্গ বলিয়া মনে হয়,-যখন মানুষ উত্তপ্ত শোণিতের উন্মত্ততায় মনে করে এ বিপুল জগতে DD DBDS BB DBBD SYLDDD BDD DDD DBB BDBD BDuD হইয়াছে—সেই বিকাশোন্মুখ যৌবনে, দ্বাদশবৰ্ষীয়া পত্নী লইয়া, আমি ংসারসাগরে ভাসিলাম। আপাততঃ শ্বশুরালয়েই আশ্ৰয় লইলাম। আমার মত অক্ষম যুবককে যিনি কন্যাদানে বাধ্য হইয়াছিলেন, তাহার আর্থিক অবস্থা যে শোচনীয় তাহা বলাই বাহুল্য ; আমাদের স্বামী স্ত্রীকে দীর্ঘকাল প্ৰতিপালন করিবার W)